পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শু্যামল ও কাজল করিয়া ফেলিবে। আমাদের যুগসঞ্চিত পাপের ফলে হয়ত , আমাদেরই অনেক লোক তাহদের পন্থী হইবে, ভাই ভাইকে ভুলিবে,-পিতার গলায় পুত্র ছোরা বসাইবে । যে মন্দির-রক্ষার জন্য পিতা প্ৰাণ দিয়াছেন, তঁহারই বংশের দুলালের সে মন্দির ভাঙ্গিয়া ফেলিয়া, বিগ্রহকে হেঁচড়াইয়া টানিয়া ফেলিবে এবং অপবিত্র করিবে! কিন্তু এই সকল ধৰ্ম্মযুদ্ধের বিশেষ কোন গুরুত্ব নাই। সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে যে ফকিরী ভাব আছে, বুলিকঁথার দিকে দৃষ্টি আছে, সেই ভােব কখনও এদেশে লুপ্ত হইবে না,—তাহাদের পথ এক এবং পরিণামে তাহারাই সাম্যভােব আনয়ন করিবে। কিন্তু দেশে বহুদিন ধরিয়া একটা কাটাকাটি, মারামারি চলিবে। কুমার, জীবন-মরণ র্তাহারই ইচ্ছাধীন জানিও ; আমরা সকলেই একটা বড় ভাবের মধ্যে আছি।--তাহা । সমুদ্রের মত আমাদিগকে ঘিরিয়া রাখিয়াছে, আমরা उशन्न कूलকিনারা দেখিতে পাই না। অবস্থান্তর হইলেই আকুল হই। সেই বড় ভাবের তাড়নাটা যে আমাদিগকে একস্থান হইতে অন্যস্থানে ক্ৰমাগত দ্রুতবেগে টানিয়া লইয়া যাইতেছে-আমাদেরই শুভ পরিণতির দিকে, তাহা না বুঝিয়া আমরা অবস্থান্তরে ব্যথিত হই। কুমার, শাস্তু-জ্ঞান, পাণ্ডিত্য, প্রতিষ্ঠা, হঠযোগে অজিত শক্তি,-এগুলি জীবনের পরিধিমাত্ৰ স্পর্শ করিতেছে, সংযমও তপস্যাই আমাদের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। কোটি কোটি দীপ থাকিলেও অন্ধ যেরূপ দেখিতে পায় না, তপঃ-প্রভাব বিরহিত লোক তেমনই সহস্ৰ পাণ্ডিত্য-সত্ত্বেও পথেৰু নির্দেশ পায় না। কচ্ছপ যেরূপ S ANo