পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সতেরু) * বাজাসনাধ্যক্ষ একদিন অপরাহুে নান্নার বিহার-লগ্ন দীঘিটির ধারে বসিয়া আছেন। র্তাহার সম্মুখে অজিনাসনে তাহার পার্শ্বচর মণিবজু উপবিষ্ট। দীঘূির পূর্বপার হইতে অশোক পুষ্পের গুচ্ছগুলি সবুজ পত্রের অন্তরাল হইতে দেখাইতেছে-যেন সদ্যবলি-সমাহিত খড়গখানির রক্তরঞ্জিত ফলকটি । চৈত্র-সন্ধ্যায় মনোরম মলয়-বায়ু বহিতেছে। সম্মুখে সন্ধ্যামালতীর গাছ হইতে ভ্রমরের গুঞ্জন শোনা যাইতেছে ও দুই একটি সবুজ ছোট পাখী তাহার কোমল শাখাগুলিতে বসিয়া ফুলের কুঁড়ি ঠোকরাইতেছে। পশ্চিম আকাশের সুৰ্য্যাস্তের রক্তিম আভায় তাহারা উজ্জল হইয়া উঠিয়াছে। কতকগুলি কাক উড়িয়া সেই লাল রক্তের মধ্যে কালির বিন্দুর মত আকাশে দেখাইতেছে। অধ্যক্ষ ফাউচের শরীর মলয়-সামীরণে জুড়াইতেছে না, পাখীর ডাক, কি শিউলী ফুল তাহার মনে কোন রেখাপাত করিতেছে না | কি যেন দুৰ্বার আকাজক্ষায় তাহার মন-প্ৰাণ ডুবিয়া আছে। এমন সময় হঠাৎ মন্দিরের বাহিরে নানারূপ বাদ্য বাজিয়া উঠিল এবং একজন ভিক্ষু দৌড়াইয়া মঠস্বামী মহারাজকে জানাইল"সর্দার সেনাপতির ভ্রাতুষ্পপুত্র, যুবরাজের ব্যায়াম-গুরু যুদ্ধ জয় করিয়া বাজাসনের তথাগতের শ্ৰীমুক্তি, মঞ্জুশ্ৰী, বিক্ষোভ্য ও পঞ্চধ্যানী বুদ্ধকে প্ৰণাম করিতে আসিয়াছেন।” S.S