পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্র্যামল ও কাজল খণ্ডিত হইলে তাহাতে ঢাল ঝুলাইয়া ডান হাতে খড়গ চালাইয়াছে, সেই সকল মৃত্যুজয়ী মহাবীরদের শিরশেহদ করিয়াছি। তোর মত চোর, বিশ্বাসঘাতক, অর্থলোভী, নরপিশাচ বণিকের শিরশেহ্রদ করিয়া আমার অসির অপমান করিব না। মরিবি তো কত তড়াগ দীঘি আছে, গলায় কলসী বাধিয়া তাহাতে ডুবিয়া মর গে। মরিবি তো বাজাসনের ভিক্ষুদের ঝুলিতে অনেক বিষ আছে, তাহার কিছু খাইয়া মর গে। তুই রাজ-যক্ষাক্রান্ত রোগী, তুই কুণ্ঠগ্ৰন্ত, তোকে স্পর্শ করিতে ঘূণা হয় ; তুই দূর হ৷” এই বলিয়া উন্মত্তের মত আসি। হস্তে সেনাপতি বাহিরে গেলেন। বহুকাল পূর্বে র্তাহার পত্নী মারা গিয়াছিলেন। আজ র্তাহার মুখ হইতে অস্ফুটম্বরে দুইটি শব্দ বাহির হইল—“বন-দূৰ্গা”, কই আস্থার বনদূৰ্গা ? তুমি তো কোন কিছু রাখিয়া যাও নাই, কিন্তু ভগবান আমাকে সেইরূপ অমূল্য স্নেহের চিহ্ন দিয়াছিলেন, তাহ পাইয়া আমি তোমার শোক ভুলিয়া গিয়াছিলাম। এই দুইটি বৎসর জলে, স্থলে রণাঙ্গনে কামান, বন্দুক ও ধনুকের মুখে যাদুকরের মত খেলিয়াছি! আমার উৎসাহ আদম্য ছিল, বাহুতে নব যৌবনের বল আসিয়াছিল, মনে আবার রঙ্গীন আশা কত কল্পনার সৌধ গড়িয়াছিল । শ্যামল, আমার দেহ, মন, ভিতর, বাহির জুড়াইয়া দিয়াছিল। তোমার বিবাহ হইবেহায় ! --” বলিতে বলিতে উন্মত্তের ন্যায় চক্ষু রক্তবর্ণ হইয়া উঠিল, শিরায় শিরায় যেন রক্ত ছুটিতে লাগিল । brer