পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামল ও কাজল ।

  • জীবনের মত আমার মাছ-খাওয়া বন্ধ করিলি ! কোন জেলের মাছের দাম মিটাইয়া দিতে আমি কোন জন্মে ভুলিয়াছিলাম, তাই আমি অল্প বয়সে বিধবা হইলাম !”

সেই বালকের সুরে একটা মৰ্ম্মান্তিক করুণা ! ইহাই ভাটীয়াল রাগের দুরন্ত মোহ । যাহা বাঙ্গলা দেশের পদ্মা ও ধলেশ্বরী নদী-তীর-বাসী দিগকে উজান জলের ন্যায় তোলপাড় করে, এ যে সেই সুর ! আজ কেন কািজলের বুকে এই স্বর শেলের মত বিধিতেছে । আজ কোন “সাব-দেওয়া-বাবা।” আমাকে উপদেশ দেওয়ার মত কি কতকগুলি তত্ত্বকথা বুঝাইলেন। আমি তো তাহার কিছুই বুঝিতে পারিলাম না। কাল তিনি বলিয়াছিলেন যে যাহাকে ভালবাসে, পর জন্মে। সে তাহাকে টানিয়া আনে। ভালবাসার আকর্ষণ অতিকায় হস্তীও রোধ করিতে পারে না । দেখ, সতী যে ভালবাসায় দক্ষ-গৃহে প্ৰাণত্যাগ করিয়াছিলেন, সেই সতী আর এক জন্মে সমাধিস্থ শিবের ধ্যান ভঙ্গ করিয়াছিলেন। এক জন্মে কিছু ফুরায় না। প্রেমের ভাণ্ডার অফুরন্ত, যত দিবে ততই ইহার বিশালত্ব বুঝিতে পরিবে। আমার বিদায়কালে এ সকল তত্ত্বকথা কেন ? আমার মন যে সাভারের যুবরাজের সঙ্গে মিলন-আশায় অধীর হইয়া আছে! কই, কোন আশীৰ্বাদ তো তিনি করিলেন না ।” 同 অমঙ্গলের ছায় তাহার হৃদয়ে আসিয়া পড়িয়াছিল। মনের প্ৰতি স্তর খুজিয়া কোন আশার সম্ভাবনা দেখিল না। একস্থানে শিবির পড়িল । সেখানে একজন গাহিতেছিল Y88 t