পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শু্যামল ও কাজল যখন অনবরত জল-সিঞ্চান, তাহার মূচ্ছি। ভাঙ্গিয়া গেল তখন অতি কাতর দৃষ্টিতে . কুমারের দিকে চাহিয়া কজল বলিল“বলুন কুমার, আমি আর সহ্য করিতে পারিতেছি না। আমার মাতাকে দেখিবার সাধও আজ আমার নাই। আমি এখান হইতে যাইব না, এখানেই আত্মঘাতী হইব। আমার সঙ্গে আপনি কথা কহিতেছেন না ? একি ! আপনার চক্ষু হইতে অজস্ৰ জল পড়িতেছে কেন ? বুঝিয়াছি আমার কপাল ভাঙ্গিয়াছে। জানেন যুবরাজ, শোক-সংবাদ গোপন করিলেও শোকাৰ্ত্ত তাহা বুঝিতে পারে। কিন্তু যদি তাহাকে সব কথা বলিয়া দেওয়া যায়, তবে বরং সে মন স্থির করিবার চেষ্টা করিতে পারে ।” যুবরাজ বলিলেন—“এই ত সাভারের রাষ্ট্র গ্রাসাদ, আপনি আপনার রুগ্না, অতিশয় শোকগ্ৰস্তা মাতার নিকট যান, সকলই জানিতে পরিবেন।” কজ্জল মায়ের কাছে গেল। বিদ্যুদ্বেগে দুর্ঘটনার কথা সর্বত্র রাষ্ট্র হইয়া গিয়াছিল। কাজলের চোখে আর অশ্রু নাই। নবনিযুক্ত দ্বিতীয় মন্ত্রীকে আদেশ করিয়া গ্রামের যেখানে তাহার শাশুড়ী ঠাকুরাণী মরিয়াছিলেন, সেইখানে একটি শিল্প-খচিত কিষ্টিপাথরের মঠ তৈয়ারী করিলেন। তাহার বেদী নিয়ে পত্ৰখানিসহ সেই কৌটাটি প্রোথিত করিয়া পাষাণ, তাম্রাবরণ, ও ܡܛ ܠ