পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শু্যামল ও কাজল পোড়া মাটির পুৈটিকায় সুরক্ষিত করিলেন। তদুপরি শ্যামলের মাতৃদেবীর মৰ্ম্মর-নিৰ্ম্মিত মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত হইল। ইহার মধ্যে • কজ্জল হাতের শাখা খুলিল না, যে স্বর্ণািভ মণিখচিত মসলিনের নীল সাড়ী ও জড়োয়৷ গহণাগুলি পরিয়া সে সিংহপুর হইতে আসিয়াছে, তাহা ত্যাগ করিল না। যিনি এ জন্মের গৌরী, তিনি পরজন্মের উমা, তপস্যায় পুনরায় শিবকে লাভ করিয়াছিলেন। “সাব-দেওয়া-বাবা’র কথাগুলিতে অগাধ প্রত্যয় স্থাপন করিয়া সে এ কয়েক দিন অহোরাত্র তপস্যা করিয়াছে। সে তপস্যা তাহার শ্বাস ও প্ৰশ্বাসের সঙ্গে চলিয়াছে। সে কিছুই আহার করে নাই, কিন্তু অনশনে কোন ক্লান্তি বোধ করে নাই ; রাতদিনে তাহার চােখের পলক পড়ে নাই। তাহারু মুখ একনিষ্ঠ তপশ্চৰ্য্যার কঠোর পুণ্যের তেজ দেখাইতেছে। མ་ পরমাণু পুঞ্জীকৃত হইলে যেরূপ পিণ্ডাকৃতি ধারণ করে, প্ৰতি মুহূৰ্ত্তের একাগ্ৰ তপস্যায় অতি অল্প সময়ের মধ্যেই যেন ফলোৎপত্তির লক্ষণ দেখা গেল। লক্ষ বার নাম জপ করিলে অনেক সময় পণ্ডশ্রম হয়, কিন্তু সংসারের সর্ববন্ধন মুক্ত আত্মা যদি একটিমাত্র কেন্দ্ৰে স্থির হইয়া তৎভাবে ভাবিত থাকিতে পারে, বিষয়াস্তরে বিচলিত না হয়, তবে আতস কঁাচের উপর স্বৰ্য্য কিরণ কেন্দ্রীভূত হইলে যেরূপ স্মৃলিঙ্গের উৎপত্তি করে, সেইরূপ এই একবিংশাহ-ব্যাপক তপস্যায় তাহার আশ্চৰ্য্য ফল লাভ হইয়াছে। সে বুঝিয়াছে, শ্যামলকে সে পাইবে এবং বেশী জন্ম প্রতীক্ষায় থাকিতে হইবে না। পরদিন প্রাতে সে চিতা Sö ዓ