পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झुं)भवन 6 क७छठन তঁহাকে কত ভক্তি-প্ৰণতিপূর্বক প্রশ্ন করিয়াছি, কিন্তু কেহ কিছু বলিতে পারেন নাই। আমি এমন কি অপরাধ করিয়াছি, যাহাতে আমার পিতৃসম জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা ও মাতৃসমা বিউদিদির মনে কষ্ট দিয়া তাহাদিগকে দেশছাড়া করিয়াছি ! এই অনুশোচনায় সর্বদা দগ্ধ হইয়াছি। কোনও যুদ্ধে যাবার প্রাক্কালে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করিয়াছি, রণক্ষেত্ৰ যেন এই ভ্ৰাতৃদ্বেষীর রক্তে রঞ্জিত হয়, আর যেন ঘরে ফিরিয়া না আসি।” “মহারাজ, চার পাচ দিন হইল এক সন্ন্যাসী আমার সঙ্গে দেখা করেন। তিনি এই তরুণ বালককে আমার হন্তে সমৰ্পণ করিয়া বলেন,-“সেনাপতি মহাশয়, এই বালককে আপনার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা পুত্রবৎ পালন করিয়া নানা স্থানে যুদ্ধ-কৌশল ও রাজনীতি শিক্ষা দিয়াছেন। তাহার স্ত্রী পাঁচ বৎসর পূর্বে দেহত্যাগ করিয়াছেন, তিনিও বালকটিকে চোখে হারাইতেন। কিছুদিন হইল আপনার ভাই মৃত্যুমুখে পতিত হইয়াছেন। আমরা উভয়ে এক নাগা সন্ন্যাসীর শিষ্য ছিলাম, সুতরাং তিনি আমার গুরুভাই ছিলেন। তিনি মৃত্যুকালে এই তরুণ যুবককে আমার হাতে দিয়া বলিলেন—“ঢাকা জেলার প্রসিদ্ধ বাজাসনের নিকট সুয়াপুর গ্রামে আমার কনিষ্ঠ ভ্রাতা আছেন। তিনি না। থাকিলেও তঁহার স্বগণ ও অন্তরঙ্গেরা আছেন। আপনি এই বালককে তঁহাদের হাতে সমৰ্পণ করিয়া বলিবেন, তাহারা যেন ইহাকে পুত্রবৎ ব্যবহার করেন, ইহাকে কোনরূপ তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য না করেন। গুরুদেব বলিয়াছেন, এই বালক অসাধারণ প্ৰতিভা 8