পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শু্যামল ও কাজল তিনি স্বকৰ্ণে শুনিয়াছিলেন। তদবধি তিনি ও তাহার স্ত্রী, যিনি আমাকে লালনপালন করিয়াছিলেন, যে দুই এক মাস এই বাড়ীতে ছিলেন, এখানকার এক গণ্ডুষ জলও পান করেন নাই। কোন দিন উপবাস, কোন দিন ফলমূল ও শাকসব্জী খাইয়া ক্ষুধা নিবৃত্তি করিয়াছেন। খুল্লতাত মহাশয় যাহা বলিয়াছিলেন, তাহাতে তাহার ক্ষুন্ন হইবার বিশেষ কারণ ছিল না। তিনি মনে করিয়াছিলেন, ইনি সত্য কথাই বলিয়াছিলেন। যাহার মনোবৃত্তি অহিংসামূলক, হিংসার অজ্জিত দ্রব্য ভোগ করা তাহার পক্ষে অপরাধ । “তিনি আমাকে কয়েক জন নাগা ও কিরাতদের হাতে যুদ্ধবিদ্যা শিখিবার ভার দিয়াছিলেন । কারণ, তিনি নিজে যদিও যুদ্ধ কলহাদিতে বিমুখ ছিলেন, তথাপি তিনি মনে করিতেন, তাহার কনিষ্ঠ সহোদরের জীবন-পন্থাই আমার হইবে। সুতরাং তিনি তঁাহার নিজ মনের বিরাগ দিয়া আমাকে গড়িতে চান নাই। তিনি আমার জন্য আমাদের পরিবার ও বংশের ধারা সর্বতোভাবে বজায় রাখিবার উপযোগী শিক্ষারই ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। তিনি আমার পিতার ন্যায়ই স্নেহশীল ছিলেন। মাতার কাছে আমি যে আদর, স্নেহ ও যত্ন পাইয়াছি, তাহা আর কি বলিব ! আমি তঁহাদের ঋণ শোধ করিতে পারিব না। তবে তাহার শিক্ষামত মহারাজের ও খুল্লতাত মহাশয়ের আদেশ ও নির্দেশ অনুসারে কাজ করিয়া যদি তনুপাত করিতে পারি, তবেই আমার জীবন সার্থক হইবে বলিয়া মনে করি।” । VM