পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शुभं & कळ আঙ্গিনায় পড়িয়াছে রাঙ্গা মাজুরী । ) তার উপরে পড়িয়াছে নেতের পাছুড়ী ৷ নানামতে শ্লোক আমি পড়িলাম রসাল। খুন্সী হৈয়া রাজা মোরে দিলা পুষ্পমাল ॥” -কৃত্তিবাস । “অশ্বপূষ্ঠ তল দিয়া লইয়া চাবুক। অন্যদিক দিয়া উঠে দেখায় কৌতুক । চতুর্দিকে পাক লৈলা লাটিকা আকার। চিনিতে না পারে কেহ অশ্ব আসোয়ার ॥” -আলওয়াল আজ সুয়াপুরের চড়ক-খেলার মাঠে বিপুল জনতা। অদূরে বহু স্তম্ভ-শোভিত শ্বেত শতদলের মত বাজাসন বিহারের অভ্রংলিহ চুড়া দেখা যাইতেছে। চড়ক খেলার মাঠের পশ্চিমে একটি নাতিবৃহৎ দীঘি, কাক-চক্ষুর ন্যায় তাহার গাঢ় নীলাভ জল। সেই কৃষ্ণবর্ণ সলিলে শরৎকালের শুভ্ৰ মেঘের ন্যায় ক্রীড়মান হাসগুলির সাদা পাখা সৌর কিরণে ঝক ঝক করিতেছে। অদূরে বেনেদের ফুলের বাগানের সুরভি সেই দীঘির জল-সম্পূক্ত হইয়া চৈত্রমাসের দারুণ উত্তাপের জ্বালা যেন জুড়াইয়া দিতেছে। দীঘির দক্ষিণ দিক ব্যাপিয়া প্ৰকাণ্ড ক্রীড়াভূমি, তাহার উপর। পট্টবস্তু-নিৰ্ম্মিত সুবৃহৎ চাদোয় । সহস্ৰ সহস্ৰ লোকের ভিড় ; সেই খেলার মাঠে বালক শ্যামল ঘোড়দৌড়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কৃতিত্ব দেখাইবে । · ኪን”