পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Jव् ७3 ड्व् বিজলী চমকাইতেছে। প্ৰথম হইতেই দর্শকেরা বুঝিল, এই সোয়ারের খেলা অদ্ভুত। এ পৰ্য্যন্ত তাহারা যে ঘোড়-দৌড় ও খেলা দেখিয়াছে, ইহা সেই শ্রেণীর নহে। ভীমমল্পের খেলা হইতেও ভাল, এই কথা তাহদের ওষ্ঠ-প্ৰান্তে আসিয়াও যেন ফুটিতেছে না। কারণ একথা অভূতপূর্ব, অনভ্যস্ত। ভীমমল্পের খেলায় সাজ-সজা ও বর্ণ-বৈচিত্র্য যেরূপ প্ৰভাব বিস্তার করিয়াছিল, তরুণ সোয়ারীর খেলায় তাহা নাই, তাহাকে দেখা যায় না ; যেন একখানি হস্ত ও একখানি অসি। সেই অদৃশ্য হস্তের প্রেরণায় অস্ত্ৰখানি শুধু ঝিলিক মারিতেছে। ‘দোগামী খেলায় ক্ষণে আকাশে, ক্ষণে বায়ুপথে, ক্ষণে ধরণী-পৃষ্ঠে একটা কি যেন ক্ষিপ্ৰতা সহসা গোচরীভূত হইয়া যাদুকরের মোহিনী প্রভাব বিস্তার করিতেছে। অশ্ব বুঝা যায় না, সোয়ার বুঝা যায় না,-শুধু একটা ভাব-যেন একটা দুৰ্দমনীয়, অসমকুশলী, মায়াজালমণ্ডিত অপার্থিব ভাব ! সে ভাব মাধ্যাকর্ষণের ধার ধারে না, প্ৰাকৃতিক কোন নিয়মের বাধায় ধরা দেয় না, পৃথিবী যেন সেই ভাবমহিমায় স্বৰ্গকে ছুইয়াছে, স্বৰ্গ যেন সেই ভাব-মহিমায় পৃথিবীতে নামিয়া পড়িয়া অঙ্গুলী মাত্র দ্বারা তাহা স্পর্শ করিয়া পুনরায় উৰ্দ্ধে চলিয়া যাইতেছে। কখনও সোয়ার উদ্ধবাহু, কখনও দুই বাহু দুইদিকে সম্যক প্রসারিত, কখনও বা ঘোড়ার উপর দণ্ডায়মান, ঘোড়া কখনও খুর সঙ্কুচিত হইয়া যেন গোলা এড়াইয়া শূন্যপথে চলিয়াছে, ক্ষণে যেন শত্রুর উদ্যত খড়গাঘাত উপহাস করিয়া দেহটি এমন সাবধানে বঁাচাইয়া যাইতেছে, যেন খড়েগির আঘাত বায়ু Σ, η