পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

थुJभव्ल ७ कष्क्र्द्धन কৌশল, যে নিপুণতা, যে যাদু দেখাইয়া চলিতেছে, সেই দিব্য খেলায় তাহারা শুধু আনন্দ-নিকেতনের স্বভাবজ লীলা দেখাইতেছে। তাহাতে শ্রমজ এক বিন্দু ঘৰ্ম্ম নাই, তাহাতে আয়াসজাত শিক্ষার বিন্দুমাত্র চিহ্ন নাই। যাহারা খেলিতেছে, যাহারা দেখিতেছে, তাহারা আনন্দে মুক হইয়া গিয়াছে। আর সে ঘন ঘন জয়ধ্বনি নাই, আনন্দ তাহাদিগকে মূক করিয়া বাকশক্তিহীন করিয়া ফেলিতেছে। কেবল তাহদের গণ্ডদ্বয় বিপ্লাবিত করিয়া আনন্দাশ্র বহিতেছে। স্বয়ং মহারাজের চোখ দিয়া যে জল পড়িতেছে, সন্ত্রম ও সংযমের খ্যাতিতে প্ৰকাশ্য সভামণ্ডপে তাহা মুছিতে তিনি ভুলিয়া গিয়াছেন। সভাসদের চিত্ৰাপিত পুত্তলীর ন্যায় দাড়াইয়া আছে। সেই আনন্দঘন দর্শক মণ্ডলীর ভাব আর কি বৰ্ণনা করিব ? একি ঘোড়-দৌড়ের খেলা না ব্রজের হাটে নীলকান্ত মণির বিকিকিনি । যখন ‘চােগান খেলা শেষ হইল, এবং শ্যামল ঘোড়া হইতে নামিয়া মহারাজের পদতলে দাড়াইল, তখন মনে হইল, অরূপ যেন রূপ ধারণ করিয়াছে। কি সে শ্যামলিমা, কি সে মুক্তি, কি সে রূপ ! তাহদের মনে হইল, এমন রূপ আর তাহারা দেখে নাই । ] r রাজা তাম্বুলধারিণীর হস্তস্থিত। মণিময় পাত্র হইতে স্বহস্তে পান লইয়া শ্যামলকে দিলেন এবং পুস্পপাত্ৰ হইতে সৰ্ব্বাপেক্ষা বড় পুষ্পমাল্যটি লইয়া শ্যামলের গলায় পরাইয়া দিলেন । । Σ Ν