পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামল ও কাজল হইতে বঞ্চিত হইবে না। ইহা আমার অনুগ্রহের দান বলিয়া মনে করিও না, ইহা তোমার চির বিশ্বস্ততা, রণক্ষেত্রে অজিত প্ৰতিষ্ঠা ও এই জনপদের সুপ্ৰতিষ্ঠ যশের যোগ্য পুরস্কার।” আবার তাহার পরদিন লাঠিখেলা ৷ দরবারের লেঠেলর । সে দিনও হারিয়া গেল। এই তরুণ কুমারের মাংসপেশীগুলি যেন লোহা দিয়া গড়া। প্ৰথম চার পাচজন, তাহার পর দশজন, এরূপ করিয়া ক্রমাগত একশত পরে দুইশত লেঠেলের দৰ্প হরণ করিয়া শ্যামল যখন সেই পরীক্ষা-ক্ষেত্রে দাড়াইল, তখন মনে হইল যে, সে বিজয়-লক্ষ্মীর দক্ষিণ হস্ত। তাহার শিক্ষার বাহাদুরী অপূর্ব। সেই শিক্ষা অপর কেহ পায় নাই। লাঠিখেলার সময় তাহার একখানি লাঠি শত শত লাঠি ঠেকাইতেছে, শত শত ধনুর গুলি বিমুখ করিয়া দিতেছে। মনে হয় যেন শত শত লাঠির উপর একখানি লাঠির শ্যেন-দৃষ্টি। লেঠেলের হাতমুখ অঙ্গপ্ৰত্যঙ্গ নাই, লাঠিখানি যেন মন্ত্রপূত। মন্ত্রবলে লাঠি শূন্যপথে, নিম্নে, উত্তর-দক্ষিণে, পূর্ব-পশ্চিমে প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেষ্টা ব্যর্থ করিয়া দিতেছে। পাজরের আঘাতে কেহ হেলিয়া পড়িয়াছে, কেহ হাটুর সন্ধিস্থলে নিদারুণ ঘা খাইয়া বসিয়া পড়িয়াছে, কেহ বা চোট সামলাইতে না পারিয়া লাটিমের মত ঘুরিতেছে। কাহারও লাঠি এক ক্রোশ দূরে ছুটিয়া যাইয়া যেন রণক্ষেত্র হইতে পলাইয়া গিয়াছে। কি অদ্ভুত নিপুণতা ! বিপুল, পেশীবহুল, মাংসলদেহ, বীরপুরুষ,-সুদৃঢ় অস্থি, শক্তির পরিচায়ক কাঠামো, ইয়া গোঁফ, চওড়া বুকের পাট,-সেই সকল মল্লবীর R. )