পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শু্যামল ও কাজল হইবেন,--শ্যামলের দেহে একবিন্দু রক্ত থাকিতেও কেহ কুমারের কোন অপকার করিতে পরিবে না । কিন্তু বৃদ্ধ মন্ত্রী রাজার শ্যামলের উপর এই অগাধ বিশ্বাস খুব সুচক্ষে দেখিতেন না । একদিন সায়ংকালে রাজপ্ৰাসাদের দরবার-মণ্ডপে এইমাত্র স্বৰ্ণ-দীপ জ্বলিয়া উঠিয়াছে। রাজা জয়দেব কৃত দশ অবতারের স্তব আবৃত্তি সমাধা করিয়া ইষ্টমন্ত্র জপ করিয়া বসিয়াছেন। শুভ্র ফরাসটির চতুষ্কোণে স্বর্ণ-সূত্ৰ-গ্রথিত চারিটি কলকা যেন ঝিলিক দিতেছে। শ্বেতবর্ণ ফরাসের উপর সেই উজ্জল কলকা একটা পীত আভা দেখাইতেছে। রাজা কুমারের ব্যয়াম ও রণকৃতিত্বের কথা স্মরণ করিয়া মনে মনে খুব হৃষ্ট। তবে শ্যামল বড় দুঃসাহসী ; সিংহ-ব্যাঘ্র-গণ্ডারকে সে ভয় করে না। কুমারও চিরানুগত সহচরের ন্যায় সতত শ্যামলের অনুগামী । কুমার পাছে কোন বিপদে পড়ে, সেই ভয়ে কখনও কখনও রাজার চিত্ত কঁপিয়া উঠিত। তথাপি তিনি এক একবার এই ভাবিয়া আশ্বস্ত হইতেন যে, শ্যামলের প্রাণ থাকিতে কুমারের কেহ কোন অপকার । করিতে পরিবে না। এই সকল যুদ্ধ ও মৃগয়াদি ব্যাপার রাজধৰ্ম্ম । ইহা হইতে সরাইয়া রাখিলে সে ভীরু ও বীৰ্য্যহীন হইয়া পড়িবে। শ্যামলের মত সৈনিক যাহার দেহ-রক্ষী, তাহার আবার ভয় কি ? তিনি বহু তপস্যায় কাত্তিকেয়ের আশীৰ্বাদে শ্যামলের মত একজন শিক্ষাগুরু পাইয়াছেন। এই চিন্তায় আশ্বস্ত । হইয়া তিনি ভাবিতে লাগিলেন- রাজা ও রাজকুমারদের বিপদ A (