পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শু্যামল ও কাজল জন্মগ্রহণ করিয়া দৈবদুব্বিপাকে চণ্ডালের সাহচর্য্যে লালিত হইয়াছে।” মন্ত্রী-“চেহারা দেখিয়া এরূপ প্ৰতারিত হওয়ার দৃষ্টান্ত এদেশে বিরল নহে। বৌদ্ধদের দ্বারা আমাদের সমাজে যৌনসম্বন্ধ এতটা বিকৃত হইয়াছে যে, এ সম্বন্ধে একটা স্থির সিদ্ধান্ত করা যায় না। তবে ছোট সময় হইতে সে চণ্ডাল গৃহে, চণ্ডাল জনক-জননী-কর্তৃক লালিত পালিত হইয়াছে ; স্বয়ং শৈবাল রায়ও ইহার অধিক কিছু বলিতে পারে না। হংসরাজ তাহাকে তাহার উত্তরাধিকারী মনোনয়ন করিয়া গিয়াছে, সুতরাং সে শৈবাল রায়েরও উত্তরাধিকারী । অনেক প্রশ্নের পর ইহার বেশী সে কিছুই বলিতে পারে নাই। যাহা হোক, দ্রোণাচাৰ্য্যও একলব্যের ধ্যান-বলে তাহাকে অদ্ভুত প্রকারের ধনুশিক্ষা দিয়াছিলেন। ব্যায়াম ও কায়িক পরিশ্রমের শিক্ষা শ্যামল দিতেছে এবং শিক্ষাগুরু হিসাবে যে, সে খুবই যোগ্য ব্যক্তি, তাহা অস্বীকার করিবার উপায় নাই। কিন্তু কুমারেরত ইহাই চূড়ান্ত শিক্ষা নহে। সেই এদেশের ভাবী রাজা, সে হিসাবে বেদ, বেদাঙ্গ, স্মৃতি, তন্ত্র প্রভৃতি সৰ্বশাস্ত্রের শিক্ষাই তো তাহাকে দিতে হইবে।” রাজা একটু ইতস্ততঃ করিয়া বলিলেন- “কুমারের মুখে , এবং শৈবাল রায়ের কাছে আমি শুনিয়াছি, শ্যামল সর্বশাস্ত্রে পারদর্শী । তাহার সঙ্গে কোন শাস্ত্র বিচারেই পণ্ডিতগণ আঁটিয়া উঠিতে °igझन्म क्रा ।” মন্ত্রী—“তবে কি মহারাজ মনে করিতেছেন যে, পবিত্ৰ R