পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামল ও কাজল । পরিয়া ইহারা সংযমের ভাণ করে। এদিকে “ধ্যায়েৎ শূন্য মূৰ্ত্তিং” বা “ওঁ মণিপদ্ম হু” প্রভৃতি মন্ত্র বিড়বিড় করিয়া আবৃত্তিপূর্বক আড়চােখে রাজ অন্তঃপুরিকাদের প্রতি দৃষ্টি-বাণ হানে। এক সপ্তাহ হইল। এই সিদ্ধবন্ত্র-নেড়ার দলের এক ভিক্ষু একটা দাসীর কাণে ফু দিয়া মন্ত্র দেওয়ার ছলে যে কাণ্ডটা করিয়াছিল, তাহা মহারাজকে শুনাইবার উপায় নাই ! এই কুলাঙ্গার "ভণ্ড শিরোমণি ধীমন্ত এবং আমরা কখনই একস্থানে বাস করিতে পারিব না। ভিষকেরা বলিয়া থাকেন, “কোন দুষ্টব্রণ, হাতে হইলে বিসিপী রোগের দোষে সমস্ত দেহ বিষাক্ত হইতে দেওয়া অপেক্ষ সেই প্ৰতিবাদ করিতে যাইয়া কুমার ধীমান্ত যাহা বলিতে চেষ্টা করিলেন, তাহাতে উত্তেজনা বাড়িল বই কমিল না। অবশেষে বাক্য ছাড়িয়া হাতাহাতি হইবার উপক্রম হইল। " মহারাজ ভীমসেন বলিলেন-“শুন৷ ধীমন্ত, কে অন্যায় করিতেছে, কে ন্যায় পথে চলিতেছে, তাহা বিচার করিবার বা বুঝাইবার শক্তি আমার নাই। যখন তোমরা তরুণ ছিলে, স্নেহ দিয়া, দরকার হইলে শাসন করিয়া তোমাদিগকে সুপথে আনিয়াছি। কিন্তু এখন তোমরা যৌবনের শেষ ধাপে।” তাহার পর কুমার এবং বড় কুমারদের মতাবলী যদি তুমি না হও, তবে উপদেশ দিয়া বা শাসন করিয়া তোমাকে আমি ফিরাইতে পারিব না।