পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

jभ 'G | বিবাহ দিয়াছিলেন। সাভার ও তন্নিকটবৰ্ত্তী লোকেরা ইহার পূৰ্বেই বৌদ্ধধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিয়াছিল। শ্রমণরাজ সিদ্ধবজের উপদেশে লোকের নূতন জীবন লাভ করিল। যেখানে প্ৰজার রাজশক্তির অনুকুল সেখানে রাজ্য-শ্ৰী স্বাবলম্বিত মহিমায় দাড়াইতে সমর্থ হয়। সুতরাং ধীমন্ত সেন অল্পকাল মধ্যে উত্তরে হিমালয় পৰ্যন্ত বহু প্ৰদেশ দখল করিয়া লইলেন। ঐ সকল দেশ হইতে প্রচুর অর্থের আগমে র্তাহার নব-নিৰ্ম্মিত রাজধানী মঠমন্দিরে শোভিত, হইয়া উঠিল। ধীমন্ত সেনের দুৰ্দ্ধৰ্ষ সেনাপতি ও সৈন্যের সঙ্গে কিরাতের বহু যুদ্ধ করিয়াও আঁটিয়া উঠিতে পারে নাই। বংশাই ও ব্ৰহ্মপুত্রের মধ্যবৰ্ত্তী সুবৃহৎ গারো জনপদ ধীমন্ত সেনের অধীকৃত হইল। ধীমন্ত সেনের পুত্র রণধীর সেন কাত্তিকেয়ের ন্যায়ই যুদ্ধবিশারদ ছিলেন ; তিনি হিমাদ্রির উপত্যক পৰ্য্যন্ত সমস্ত দেশ ‘বাহুবলে পরাজয় করিয়াছিলেন । “ধীমন্ত-পুত্রে রণধীর সেনঃ সংগ্রাম জেতা ইব কাত্তিকেয়ঃ। হিমালয়-ব্যাপ্ত-দেশান বিজিত্য সম্বারপূৰ্য্যাবসৎ প্রবীর: ॥” (শিলালিপি) { ধীমন্ত সেনের পৌত্র, মহারাজ রণধীরের পুত্র রাজর্ষি হরিশ্চন্দ্র “ধনাঢ্যঃ কুবেরাধিকঃ”, কুবের হইতেও ধনশালী ছিলেন। তিনি তাহার বিস্তুত রাজধানীতে অসংখ্য বৌদ্ধ মঠ ও সঙ্ঘারাম স্থাপন করিয়াছিলেন এবং সেই সকল মঠেই তিনি শেষ বয়সে 8w