পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

亨中可s夺可 এদিকে বাজাসন বহুপূর্বে বৌদ্ধরাজগণ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। শ্ৰীচন্দ্রদেব, ত্ৰৈলোক্য চন্দ্ৰ প্ৰভৃতি বিক্রমপুরের পরম সুগত বৌদ্ধরাজারা ইহার সমৃদ্ধির জন্য অশেষ চেষ্টা পাইয়াছিলেন। কথিত আছে তথ্যাগতের পুত্র রাহুল একদা ঐস্থানে পদার্পণ করিয়াছিলেন ; সেইসূত্রে উহা একটি বৌদ্ধতীর্থে পরিণত হইয়াছিল। উহাতে একশত পাচ ফিট উচ্চ দশটি মন্দির ছিল ; তাহা বালিয়াটির বৌদ্ধ বণিকগণ প্ৰভূত অর্থব্যয়ে নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছিলেন। উহার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠে দুই সহস্ৰ ছাত্র অধ্যয়ন করিত এবং দ্বিশত ফিট দীর্ঘ এবং আশি ফিট প্রশস্ত শ্রোতৃগৃহে শ্ৰমণের যখন ধৰ্ম্মোপদেশ দিতেন, তখন তিন সহস্ৰ ভিক্ষুর আসনের সমাবেশ সেখানে হইত। নানারূপ মণিখচিত সারি সারি স্তম্ভ বক্তৃতাগৃহের শোভাবৰ্দ্ধন করিত। ব্যভ্রমুখ, হংসমুখ, মৃগমুখ, করিশুণ্ড প্রভৃতি নানা কারুকাৰ্যখচিত বিচিত্ৰবৰ্ণ স্ফটিক স্তম্ভের কীৰ্ত্তিমুখ শোভা পাইত ; সেগুলি দেখিয়া চক্ষু জুড়াইত। চীন, মহাচীন ও যবন্দ্বীপ হইতে বৌদ্ধ পরিব্রাজক ও শ্রমণের বারংবার এই বাজাসনে আসিয়া প্ৰধান অধ্যাক্ষের উপদেশ শুনিতেন, পঞ্চাশ ষাট ফিট উচ্চ অনেক মঠ তাহদের উৰ্দ্ধস্থিত ইন্দ্ৰধনু ও : তথ্যাগতের কত শত ধ্যানস্থ পদ্মাসন, বাজাসন প্রভৃতি বিবিধ আসনে উপবিষ্ট, নানারূপ মুদ্রায় সুবিন্যস্ত অঙ্গুলি বিশিষ্ট মূৰ্ত্তিগুলি ভক্ত দর্শকের মনে ভাবের উৎস সঞ্চার করিত। পার্শ্ববৰ্ত্তী ৭০ খানি সমৃদ্ধ পল্লীর আয় এই বাজাসন সঙ্গাবামের ব্যায়ার্থে নিয়োজিত ছিল । 8