পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শু্যামল ও কাজল ব্যবহার ঠিক তদনুরূপ ছিল না। তিনি তখনও যুবরাজের বিশেষ শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। সুতরাং কাৰ্য্যতঃ তিনি যাহা বলেন, যুবরাজ ও রাজবধু তাহাতেই সায় দেন-এই সূত্রে মন্ত্রীই প্রকৃতরূপে রাজ্যের কর্ণধার। যুবরাজ বিশ্বনাথ মনে করেন, তাহার শ্বশুর বুদ্ধির সাগর এবং মহারাজ বুদ্ধবয়সে একেবারে বীৰ্য্যহীন স্থবির হইয়া গিয়াছেন। পরে যুবরাজের এই শ্বশুর-গ্ৰীতি টুটিয়া গিয়াছিল, তাহ পরে লিখিব। রাজা বলিলেন- “সর্দার রায়কে আসিতে বল ।” প্রতিহারী শৈবাল রায়কে সঙ্গে লইয়া উপস্থিত হইল। ফরাশ হইতে অদূরে একটা কারুখচিত মহাৰ্য বস্ত্রাবরণে মণ্ডিত পালঙ্কে রাজার নির্দেশ মত শৈবাল রায় রাজাকে প্ৰণতি জানাইয়া আসন গ্ৰহণ করিলেন। to রাজা বলিলেন,-“আমি বৃদ্ধ হইয়াছি, তোমাদের রাজাও বুদ্ধ। আমার একেবারেই ইচ্ছা নহে, সামান্য সঙ্ঘারামের কর্তৃত্ব লইয়া আমাদের মধ্যে একটা লড়াই বাধে। বিশেষতঃ বর্বর পাহাড়িয়া নেতারা তোমাদের ও আমাদের রাজ্য-প্ৰান্তে প্রায়ই লোলুপ দৃষ্টি দিতেছে। লুণ্ঠন, দস্যতা, নিরীহ প্ৰজাদিগকে হত্য,-এ তো লাগিয়াই আছে। এখন কি তোমাদের সঙ্গে আমাদের ঝগড়া বাধান উচিত ? বিশেষতঃ বাজাসনাধিপ এবং আমরা একই বংশের শাখা ।” করজোড়ে বন্দ্ৰধ্বজ বলিলেন-“মহারাজ, আপনাদের সঙ্ঘরামগুলির গুরু শান্তাচাৰ্য্য ও বাজাসনের প্রধান অধ্যক্ষ 登○