পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

吠国可s夺丐可 ফাহাউন ( আচাৰ্য্য বিজ্ঞানানন্দ ) উভয়েই বৌদ্ধভাবাপন্ন, কিন্তু শান্তাচাৰ্য্য তন্ত্র মানেন না । অৰ্দ্ধ শতাব্দী গত হইল, যখন মহারাজ দুৰ্জয় সেন অত্যন্ত পীড়িত হইয়া পড়েন, তখন শান্তাচাৰ্য্য মন্ত্রবলে ও স্বীয় অব্যৰ্থ। ঔষধ সেবন করাইয়া বাজাসনাধিপের আরোগ্য সাধন করেন। আরোগ্য লাভের পর পুরষ্কার ও দক্ষিণ দিতে চাহিলে শান্তাচাৰ্য্য ধামরাই সঙ্ঘারামের কর্তৃত্ব চাহিয়া লন । তদবধি উক্ত বিহারে তান্ত্রিক অনুষ্ঠানের লেশমাত্র নাই । শান্তাচাৰ্য্য এখনও জীবিত আছেন, তিনি সমস্তই জানেন । বিশেষতঃ বাজাসনের অধ্যক্ষ যদি সেই সজঘরামে তান্ত্রিক অনুষ্ঠান চালাইতে যান, ধামরাই পল্লীর ভিক্ষুরা তাহাতে সম্মত হইবেন না। এই ধামরাই গ্রাম বহু প্ৰাচীন। এই পল্পীর প্রাচীন নাম ‘ধৰ্ম্মরাজিক” । "মহারাজ অশোক এই পল্লীর পত্তন করিয়াছিলেন। তদবধি তথ্যাগতের অমিশ্র উপদেশ, ধৰ্ম্মপদ ও তাহার শ্ৰীমুখোক্ত পালি ভাষায় রচিত কথাগুলিই ইহাদের অবলম্বন। ইহার কখনই তান্ত্রিক শিক্ষা গ্ৰহণ করিবেন না।” শৈবাল রায় বলিলেন—“মহারাজ, আপনি ভাবিয়া দেখুন, আপনি যেরূপ এদেশের ছত্রপতি, শাসন সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ের কৰ্ত্তা, বাজাসনাধিপ তাহা নহেন ৷ প্ৰজার বাজাসনের অধ্যাক্ষের কথানুসারেই ধৰ্ম্মকাৰ্য্য প্ৰতিপালন করে, এসকল বিষয়ে মহারাজের অনুশাসনের অধিকার নাই। কিন্তু আমাদের বিহারের অধ্যক্ষ মহাশয়ের জেদ, ধামরাই আমাদের গণ্ডির মধ্যে এবং আপনাদের এলাকা বহিভূত। গত পঞ্চাশ বৎসর আপনার (8