পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه/e মানচিত্রে ‘গাজিথালি’ নামের পরিবৰ্ত্তে কানাই নাম পাওয়া যায়, সুতরাং বুঝা যাইতেছে সাৰ্দ্ধ শত বৎসর পূর্বেও ‘গাজিথালি’ নাম সর্বত্র প্রসিদ্ধি লাভ করে নাই । এখন অবসর প্রাপ্ত সবজজ ত্ৰৈলোক্যনাথ রায়ের বাড়ীর কাছে শতদল চক্ৰবৰ্ত্তীর বাস্তুভিটারি অনতিদূরে একটা স্থান বৃন্ধেরা “রাজপাড়া” বলিয়া উল্লেখ করিতেন। শশধর বাবুৰ্ব্বমাতা ऊँiश्iब्र প্ৰয়োজনে সেই স্থানের কতকটা খনন করায় একটা ছাদ বাহির হইয়া পড়ে। উহাই প্ৰাচীন রাজবাড়ীর ছাদ বলিয়া কেহ কেহ বলিয়াছিলেন। শশধর বাবুর মাতা অমঙ্গল আশঙ্কা করিয়া সেই খনন-কাৰ্য্য স্থগিত রাখেন। ঐ স্থানের অনতিদূরে পূর্বে চন্দ্রমোহন দাশের বাড়ী যে স্থানে ছিল, তৎসংলগ্ন পুকুরের দক্ষিণে খানিকটা উচ্চ স্থানকে লোকে সেদিন পৰ্য্যন্তও “কোট বাড়ী” বলিত। “কোট বাড়ী” বলিতে সেকালে দুর্গ বুঝাইত। রাজবাড়ীর অল্প পশ্চিম-দক্ষিণে—যেখানে ৬ রেবতী চক্ৰবৰ্ত্তীর বাড়ী-সে। স্থানটী লোকে পূর্বে ‘হাতীর পিলখানা” বলিত। সুতরাং রাজবাড়া, দুর্গাঁও, হাতীর পিলখানার প্রমাণ পাওয়া গেল। মুসলমানেরা আসিয়া যে | মন্দিরটি ধ্বংস করিয়াছিলেন, সে মন্দিরটি রাজবাড়ীর খুব সন্নিহিত। এখন যেখানে দাশদের প্রতিষ্ঠিত ভগ্ন রাধাকাম্ভের । মন্দির, তাহার ঠিক দক্ষিণে একটা ভিটি আছে,-সেইখানে এই মন্দিরটি অবস্থিত ছিল, যাহারা ইহার ভগ্নাবশেষ দেখিয়াছেন- “ তাহারা বলিয়াছেন, সেই মন্দিরটি দোচালা ঘরের আকৃতিবিশিষ্ট ছিল । মুসলমানদের মধ্যে গাজিদের প্রভাব এতদঞ্চলে খুব বেশী ।