পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শু্যামল ও কাজল সজঘরামের অধিকার লইয়া এখন একটা দ্বন্দ্ব করা কি উচিত ? তাহাতে দেশময় অশান্তি ও উত্তেজনার সৃষ্টি হইবে, অনৰ্থক শোনিতপাত ও লোকক্ষয় হইবে এবং দুইটি বৃহৎ ভূভাগের নিরীহ শিশু, নারী ও আতুরেরা পৰ্য্যন্ত প্ৰাণ হারাইবো! স্বামীজি কিছুকাল মৌন অবলম্বন করিয়া তাহার, পার্শ্ববর্তী শ্মশ্রুবহুল একটি অবধূতকে তথা হইতে উঠিয়া যাইতে আদেশ করিলেন। গৃহটি একেবারে নির্জন হইল। তখন তিনি বলিলেন,-“শুনিয়াছি বাজাসনের আচাৰ্য্য অতি দুরন্ত প্ৰকৃতির লোক । তিনি ধৰ্ম্মের নামে নানা অশাস্ত্রীয় গহিত কৰ্ম্ম করিতেছেন। তান্ত্রিক ধৰ্ম্মের দোহাই দিয়া মদ্যপান এবং স্ত্রীলোকের সাহচৰ্য্য সিদ্ধিলাভের সহজ উপায় এই মত প্রচার করিয়া নানারূপ কুৎসিত কাৰ্য্য করিতেছেন ও তাহার প্রশ্রয় দিতেছেন। তাহার অধিকারে প্রজাদের ‘ ইজৎ রক্ষা হওয়া কঠিন হইয়াছে । তোমাদের রাজা বৃদ্ধ ও শান্তশিষ্ট প্ৰকৃতির লোক। তিনি এই সকল অত্যাচার নিবারণ করিতে পারিতেছেন না । তোমাদের সমাজও এই দুস্কৃতের দুৰ্দান্ত ব্যবহারের ভুক্তিভোগী হইতেছে। এজন্য আমি বুঝিতেছি, শীঘ্র এমন দিন আসিবে, যখন নিক্রিয় ও নিশ্চেষ্ট হইয়া মেষ শাবকের ন্যায় এই দৌরাত্ম্য সহ্য করিবার জন্য তোমাদের অনুতপ্ত হইতে হইবে। কিন্তু সে যখন ধনেপ্ৰাণে মরিতে বসিবে, তখন,-তৎপূর্বে নহে। এদিকে দুই নৌকায় পা দিলে যাহা হয়, তোমাদের রাজার অবস্থা তাহাই দাড়াইয়াছে। একদিকে রাজাসনের নির্লজ্জ অত্যাচার, অপর দিকে কণোজিয়া @br