পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রকম হইয়াছিল, নবীনচন্দ্র ভদ্র প্রণীত ভাওয়ালের ইতিহাসে তাহদের কথা বিস্তারিত ভাবে বর্ণিত আছে। ইহারাই কানাই নদকে গাজিখালি নামে পরিচিত করিয়াছিলেন, এবং সম্ভবতঃ সুয়াপুর-বিজয়ের পরে মুসলমান জেতারাই বৈষ্ঠােনর গোত্রীয় রাজাদের স্বাত্মীয় অথচ মুসলমান রাজদরবারে সুপ্রতিষ্ঠিত বিষ্ণুদাশ ফৌজদারের হাতে স্বয়াপুরের বিশাল জমিদারী অর্পণ করিয়াছিলেন। এই বিস্তৃত জমিদারী পাইয়াই বিষ্ণুদাশ ফৌজদার ভ্রাতাদের সঙ্গে এই অঞ্চলে চলিয়া আসিয়া থাকিবেন । সুয়াপুর-বিজয়ের পরে মুসলমান জেতা যেখানে ইদ-উৎসব করিয়াছিলেন, সম্ভবতঃ সেই স্থানটি কিছুকাল পূর্বেও ইদগড়’ নামে প্ৰসিদ্ধ ছিল। ৬/রজনী গুপ্ত ও vহরিমোহন চক্ৰবৰ্ত্তীর বাস্তুভিটীর পূর্বদিকের পুষ্করিণীর উত্তর পাড়টার নাম ইদগড় ছিল। ইহা বুদ্ধলোকদের निकाप्ने उनिभांछि । বিষ্ণুদাশ। ফৌজদার ও র্তাহার ভ্রাতৃদ্বয়ের বংশ ইদানীং কালে সুয়াপুরের আদি জমিদার এবং ইহাদের নানা কীৰ্ত্তি-চিহ্নের ভগ্নাবশেষ এখনও সেই গ্রামে বিদ্যমান। কোট বাড়ীর অনতিদূরে যে বিশাল ভূখণ্ড জুড়িয়া ইহারা বাস স্থাপন করিয়াছিলেন—তাহার চতুর্দিকে গড়খাই ছিল,—এখনও বিশেষ সন্ধান করিলে গড়খাইএর চিহ্ন দৃষ্ট হইবে। রাধাকান্ত-মন্দির হইতে আরম্ভ করিয়া ৬/অভয় সেনের বাড়ী পৰ্য্যন্ত যেখানে মাটী খোড়া যায়, সেইখানেই ভগ্ন প্রাচীর ও বাড়ীর চিহ্ন ছোট ছোট ইষ্টকাদি দৃষ্ট হয়। একটি বাড়ীর একতলাটা সম্পূর্ণ মাটীর নীচে বসিয়া গিয়াছিল