পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামল ও কাজল যে সকল কথা শুনিলাম, তাহ শুনিলে কাণে আঙ্গুল দিতে হয়। সেনাপতির সঙ্গে রাজার যে কথাই হোক না কেন, তাহার সঙ্গে তাঁহাদের মঠাধ্যক্ষ শাস্তাচাৰ্য্যের যে সকল কথা হইয়াছে, তাহাতে মনে হয় না যে, আসন্ন যুদ্ধ আপনার ঠেকাইয়া রাখিতে পরিবেন ।” সেনাপতি আসিয়া রাজাকে বলিলেন,-“আমাকে যাহাই বলুক না কেন, আমি তাহ গণ্য করি না। আমার গুপ্তচরেরা সে সকল কথাই আমাকে জানাইয়াছে, আমি সে সকল কথার উপর জোর দেই নাই। কিন্তু রাজা মহেন্দ্ৰ সেন ও শান্তাচাৰ্য্যের সঙ্গে ধামরাই সঙ্ঘারাম লইয়া আমার যে আলোচনা হইয়াছে, তঁহাদের কথায় বুঝিলাম, সমস্যাটি আরও গুরুতর ও বৃহত্তর । তঁহার এদেশে বাজাসনের প্রাধান্য ও তান্ত্রিকতার প্রভাব রাখিতে চান না, তাহারা এইরূপ প্ৰতিষ্ঠান নিৰ্ম্মল করিতে ইচ্ছুক, ধামরাইয়ের সঙ্ঘারামের ব্যাপার উপলক্ষ্য মাত্ৰ ।” শান্তাচাৰ্য্য যে এই সূত্রে বাজাসন এলাকার চণ্ডাল সৈন্যদিগকে তাহাদের ‘হীনযান’ মতে দীক্ষিত করিতে এবং এইভাবে সাভারের বাহিনী বুদ্ধি করিয়া তথাকার রাজার সৈন্যবল বাড়াইতে চান, এই কথা সেনাপতি গোপন রাখিলেন। কারণ, বিষয়টি সংগোপন করিতে তিনি শান্তাচাৰ্য্যের নিকট প্ৰতিশ্রত ছিলেন । যুদ্ধ বাধিলে শ্যামল ও যুবরাজ জয়ন্ত উভয়ে সেনাপতির সঙ্গে নেতৃত্ব করিবেন, এই প্ৰস্তাবে দুৰ্জয় সেন বাধা দিলেন না। له وا