শ্যামল ও কাজল যুবরাজ এখন ষোড়শ বর্ষে প্ৰবেশ করিয়াছেন এবং শ্যামলের চব্বিশ বৎসর উত্তীর্ণ হইতে আরও কিছুদিন বাকি। যুদ্ধের দামামা বাজিয়া উঠিল। কাড়া, নাকাড়া প্রভৃতি পচিশ হাজার তেলেগু আশ্বারোহী সৈন্য আসিয়া বাজাসনের কাছে শিবির স্থাপন করিল ; নান্নায় হইতে দশহাজার ঢালী কৈবৰ্ত্ত, রোউয়া হইতে একলক্ষ চণ্ডাল সৈন্য, টাঙ্গাইল হইতে অশ্বারোহী, গজারোহী, পদাতিক আরও ত্ৰিশ হাজার সৈন্য উপস্থিত হইল। যুদ্ধের কথা ছাড়া আর কোন কথা নাই। মদের বোতল লইয়া মাতালের যেরূপ উৎসাহ, যুদ্ধের বেলায় এই সকল সৈন্যের ততোধিক উৎসাহী। এদিকে সুবৃহৎ যুদ্ধ-জাহাজগুলি কোনটি কামানে পূর্ণ, কোন কোনটি বারুদে বোঝাই। ইহার মধ্যে আসিয়া জুটিল কুড়ি হাজার ‘রোসাইঙ্গা’ তীরন্দাজ সৈন্য। তাহদের তীরের একদিকে পালক লাগান, অপর দিকে বিষাক্ত ফল । সমস্ত বাজাসন অঞ্চল কঁাপিয়া উঠিল। তান্ত্রিক ধৰ্ম্ম উচ্ছেদ ও বাজাসন ধ্বংস করার কথা অধ্যক্ষ ফাহাউচের কাণে গিয়াছে। তিনি তঁাহার গেরুয়া আলখাল্লার মধ্য হইতে একটি অগ্নিস্মৃলিঙ্গের মত তেজ প্রকাশ করিতে লাগিলেন এবং রণোদ্যমের জন্য ধন-ভাণ্ডার মুক্ত করিয়া দিলেন। Nტხg*