পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Jiभव्ल ७ क७चल নাই, স্মৃতিকারেরা তঁহার ক্ষুদ্র শিশুটিকে ফেলিয়া তাহাকে মরিতে দেন নাই। মাতৃস্নেহের আকর্ষণে বৈধব্য-যন্ত্রণা তিনি বাধ্য হইয়া স্বীকার করিয়া লইয়াছিলেন। কিরাতদিগের সঙ্গে যুদ্ধে কুমার বিমলেন্দুর মৃত্যু ঘটে ; এই মৃত্যু অতি আকস্মিক ও অপ্রত্যাশিতভাবে ঘটিয়াছিল। শিশুপালের রাজধানীর কাছে সামান্য কতকগুলি কিরাতের বিদ্রোহ। যুবরাজ হাসিতে হাসিতে তাহার বৃহৎ হংসগ্ৰীব নামক কৃষ্ণবর্ণ অশ্বারোহণে কতকগুলি কৈবৰ্ত্ত সৈন্য লইয়া বিদ্রোহ-দমনার্থ গিয়াছিলেন। সেইদিন অপরাহ্নে স্বর্ণমঞ্জরী রত্নখচিত দৰ্পণে স্বীয় মুখ দেখিয়া তাহার বক্রান্ত সুকুঞ্চিত কেশভার বেণীবদ্ধ করিতেছিলেন। একখানি সোনা ও মণির বুটিদার মছলিনের নীল সাড়ী পরিয়া রত্নালঙ্কত দেহে যখন তিনি দাড়াইলেন, তখন মনে হইল, ষেন দীঘির সুনীল জলে লহরী উঠিয়াছে ও তীরবর্তী পুষ্পলত হইতে অজস্ৰ ফুল জলের মধ্যে ভাসিয়া তাহার শোভা অশেষরূপে বাড়াইয়া দিয়াছে। তাহার পদযুগে সখীরা কত যত্নে আলতা পরাইয়া দিয়াছে। নীল সাড়ীর মধ্য হইতে রক্তবর্ণে রঞ্জিত কটিবাসের ছটা সাড়ীর নীলবৰ্ণ লোহিতাভ করিয়া দিয়াছে। কি সুন্দর শতদলের মত মুখখানি! অলকা-তিলকা গণ্ডে বিচিত্র বর্ণে চিত্রিত হইয়াছে, মাথার সিখীতে সিন্দুর-বিন্দুর পার্থে মুক্তার ঝালর দুলিতেছে এবং কঁচুলিতে রেশমী-সুতায় তথ্যাগতের কয়েকটি জাতকের দৃশ্যাবলী অঙ্কিত হইয়াছে। কস্তুরীর তিলক মাথার উপর মণিমুক্তাকে যেন দেবালয়ােচিত o