পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vJtrel ve Kets of আরতির পবিত্র গন্ধে সুবাসিত করিতেছে,-সাতলহরী হারের মধ্যে মরকতের লাল আভা, নীলার জ্যোতিঃ ও বৃহৎ একখানি হীরার পদক কি না অপূৰ্ব্বভাবেই শোভা বাড়াইয়াছে ! স্বামী যুদ্ধ জয় করিয়া আসিবেন,-আসিয়া রণ-পরিচ্ছদ না ছাড়িয়াই তিনি কত যত্নে সোহাগ করিবেন ; স্বামী সোহাগিনীকে ফুলবাড়িয়ার সুপ্ৰসিদ্ধ মাল্য-শিল্পী মল্লিকা মালিনী দুইটি সুবৃহৎ পুষ্প-মাল্য রচনা করিয়া দিয়া গিয়াছে। দুইটিই যুবরাজ পত্নী মণিময় পুষ্পপাত্রে জলবিন্দুতে আর্দ্র করিয়া রাখিয়া দিয়াছেন,- তাহার একটি তিনি কুমারের গলায় নিজে পরাইবেন, অপরটি কত সোহাগ করিয়া নিবিড় আলিঙ্গন দিয়া স্বামী তাহাকে পরাইয়া দিবেন । সখী রঙ্গমতীকে তিনি বলিতেছেন—“দেখ, বেল প্ৰায় শেষ হইল। সন্ধ্যার গোলাপগুলি ফুটিয়াছে, কিন্তু কিছু পরেই মান হইয়া যাইবে । অগুরু শ্বেতচন্দন ও কািস্থরীর ফোয়ারার জলের সঞ্চয় কমিয়া আসিয়াছে, প্রখর সূৰ্য্য কিরণে এখনও তাহারু। একটু গরম আছে। এখন তাহা ভৃঙ্গার ভরিয়া তুলিয়া ‘রাখ: নতুবা তাহা জুড়াইবে না। কুমার রণাশ্ৰান্ত হইয়া আসিলে তোরা কি গরম জল দিবি? শান্তাচাৰ্য্যের মঠ হইতে যে প্রসাদী পুষ্প ও নৈবেদ্য আসিয়াছে, তাহার ফুলগুলি আর্দ্র করিয়া রাখা। কুমার রণক্লান্ত ও ক্ষুৎপিপাসাতুর হইয়া আসিলে তিনি কিছু তো খাইবেন । মঠের প্রসাদী মিষ্টান্ন জিহবাগ্রে স্পর্শ করিয়া তিনি থাইতে বসিবেন । মা রাণীকে বলগে সুপকারদেরে আদেশ S