পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শু্যামল ও কাজল করিয়া তাহাঙ্গা আহাৰ্য্য প্ৰস্তুত রাখিতে। মঙ্গল ঘটগুলির ফুলমালা কেমন এলোমেলো হইয়া আছে। তিনি সকলই অতি সুশৃঙ্খল দেখিতে ভালবাসেন, বিশৃঙ্খলা তিনি কিছুমাত্ৰ সহ্য করিতে পারেন না। সেগুলি ভাল করিয়া ঠিক করিয়া রাখা। মন্দুরার প্রধান কৰ্ম্মচারীকে বলগে যে, তাহার বৃহৎ কৃষ্ণ অশ্ব হংসগ্রীবের গা ধুইবার জন্য গরম জল প্ৰস্তুত রাখে ও স্বর্ণমাৰ্জনীদ্বারা এখনই তাহার রক্তাক্ত দেহ মাজিত করিতে হইবে । রঙ্গমতী, বসিয়া রহিলি কেন ? শীঘ্ৰ প্ৰজ্ঞাপারমিতার মঠে যা, সেখানে ধৰ্ম্মমাতৃকাদিগকে বলগে, যুবরাজ যুদ্ধ জয় করিয়া এখনই ফিরিবেন। র্তাহারা যেন সন্ধ্যার পূর্বে আসিয়াই সহচরীদের দ্বারা পঞ্চপ্রদীপ দোলাইয়া, শাখ বাজাইয় তাহার আরতি করেন।” এক কোণে কুঞ্জলতিকা নামী দাসী দাড়াইয়াছিল। তাহার দিকে মুখ ফিরাইয়া তিনি বলিলেন—“কি আশ্চৰ্য্য ! খোকাকে এখনও তুই বেশ-ভূষা পরাস নাই! তিনি আসিয়াই উহার গালে চুমা খাইবেন, রুমাল দিয়া মুখ মুছাইয়া কোলে লইবেন, উহাকে না দেখিলে যে তিনি পাগল হইয়া যান ! এখনও উহার শরীরটা পৰ্য্যন্ত মার্জনা করিস নাই! কি আশ্চৰ্য্য ; হাতে ধূলা লাগিয়া রহিয়াছে। তিনি কত রাগ করিবেন। না, তোরা আমাকে পাগল করিয়া ছাড়িবি। ওকি তুই কঁাদিতেছিস কেন ! অ্যাচলে চোখ মুছিতেছিস কেন ? তোকে আজ এই বিজয়ের দিনে কে মনোব্যথা দিয়াছে ?” । তখন কুঞ্জলতিকা ফুকারিয়া কঁাদিয়া উঠিল; সঙ্গে সঙ্গে ዓቅ