পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামল ও কাজল স্তোকবাক্যে ভুলাইতে বজধ্বজের বেশী কষ্ট হইল না, যেহেতু স্বশ্রেণীর মধ্যে যোগ্য কন্যা পাওয়া তখন সাভারের রাজাদের রাজপরিবারেরও বিবাহের আদান-প্ৰদান হইয়াছিল। তরুণ বয়স্ক, বিধবা বউরাণী যদিও স্বামীর অনিচ্ছা হেতু এই বিবাহের পক্ষপাতিনী ছিলেন না, তথাপি এখন তিনি সাংসারিক সমস্ত বিষয়ে একরূপ নিলিপ্ত । রাজা মহেন্দ্ৰ সেন তাহার মতামত জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলিলেন—“এই বিবাহ তিনি পছন্দ করেন নাই, তাহ আপনি ভালরূপেই জানেন । তবে তাহারও বয়স বেশী ছিল না-পরিণত জ্ঞান বা সংসারের অভিজ্ঞতা সে বয়সে হইবার নহে। আপনি ও মা মহারাণী যাহা করিবেন, সেই বিধানই আমি মাথা পাতিয়া লইব । আমাকে আর জিজ্ঞাসা করিবার প্রয়োজন কি ?” এদিকে মহারাণীর সঙ্গে স্বর্ণমঞ্জরীর সম্ভাব ছিল না । প্রিয় পুত্রকে বিবাহিত দেখিতে প্ৰথম তাহার মাতা যেরূপ উৎসুক, ছিলেন, বিবাহের পর পাছে পুত্ৰ স্ত্রীকে ভালবাসিয়া পর হইয়া যায়,-“এই আশঙ্কায় অনেক সময় তঁাহার তেমনই তীব্ৰজালা হইত। বলা বাহুল্য, যুবরাজ এরূপ সুন্দরী ও গুণবতী স্ত্রী পাইয়া স্বভাবতঃই তঁাহার প্রতি অনুরক্ত হইয়াছিলেন। তঁহার ঈর্ষাতুরা জননী দম্পতির মধ্যে এইভােব সুচক্ষে দেখেন নাই। এটুকু ওটুকু লইয়া তিনি বউরাণীকে সর্বদাই ভৎসনা করিতেন -এমন কি সখী ও দাসীদিগের কাছেও অপমান করিতেন। স্বামীসোহাগিণী।। ግ 8