পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

थु]भब् ७ कख्छन পদক্ষেপে সাভারের রাজবাটী ছাড়িয়া চলিলেন। প্রশস্ত পথ, দুইধারে আম ও কঁাটালের বাগান। নক্ষত্রের ক্ষীণালোকে রক্তবর্ণ সীথির মত লাল মাটির পথটি দেখা যাইতেছে-কখনও বন্য টগর বা বাতাবি ফুলের গন্ধ আসিতেছে-কখনও চন্দনগন্ধ-বাসিত বায়ু ধীরে ধীরে বহিয়া যাইতেছে। এ যেন শুধু কালো রঙের রাজ্য, এ যেন শুধু বিবিধ গন্ধের রাজ্য, একটি ফুলও দেখা যায় না, কিন্তু ফুলের গন্ধে বায়ু ভরপুর। সময় সময় নেকড়ে বাঘ মেষ-ছানাকে মুখে করিয়া রাণীর পথের এক পার্শ্ব হইতে অপর পার্থে যাইতেছে। রাণী নিৰ্ভীক, “আমার জীবনের কোন প্রয়োজন নাই, খোকার জীবনেরই বা প্রয়োজন কি ? না। হয় হস্তিদন্তখচিত স্বর্ণ খটায় শুইয়া শত্ৰু হস্ত-দত্ত বিষের দুঃসহ জালায় যন্ত্রণ পাইতে পাইতে মরিবে, নতুবা তাহার জননীর ক্ৰোড়ে শায়িত হইয়া ব্যাভ্রের দন্তাঘাত প্ৰাণ দিবে। হাঃ যুবরাজ ! মহারাজ ভীমসেনের বংশধর সোণার প্রদীপের এইভাবে নিৰ্বাণ হইবে । কিন্তু দুই এক রাত্রি কোন ভাবে কাটাইলে হয়ত খোকা বঁচিয়া যাইতে পারে ; হয়ত অচেনা হইয়া জঙ্গলে কাঠ কুড়াইয়া খাইবে, নতুবা লাঙ্গল চালাইয়া ধানের বীজ বপন করিবে ও ঘরে যাইয়া পাক ফসল গোলায় জমা দিবে, মন্দ কি ?” এইরূপ নানা কথা ভাবিতে ভাবিতে রাণী চলিতেছেন, দুই চােখের জলে গণ্ডদ্বয় ভাসিয়া যাইতেছে-“আমি না একদিন যুবরাজের সুদৰ্শন, দৃঢ়গঠিত, অথচ পুষ্প-শয্যার মত সুকোমল বক্ষে স্থান পাইতাম ! b象