পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ॐभिव्य \e कस्छदन গাছ হইতে রস বিক্রয় করিয়া তাহার বিনিময়ে গুড় পাইয়াছিল। মহিষাল তাহার হাতের রান্না খাইয়া বলিল,-“জীবনে এমন সুস্বাদু। অন্ন-ব্যাঞ্জন খাই নাই।” খাইবার পূর্বে সে বলিয়াছিল, “মা আগে তুমি খাও, তবে তোমার এই দাস মা-লক্ষ্মীর প্রসাদ পাইবে।” ছেলেকে দুধ খাওয়াইয়া খড়ের বিছানায় শোয়ান হইল। বউরাণী কহিলেন,-“আমার বড় জর হইয়াছে, আজ আর আমি কিছুই খাইব না।” । স্বর্ণমঞ্জরী মহিষপালকের নিকট হইতে একটুকু কাগজ, কালি ও কলম চাহিলেন। সন্মুখেই গয়লাদের পুরোহিত-বাড়ী। বুড়ো তথা হইতে সে সকল সংগ্ৰহ করিয়া দিয়া মহিষ চরাইতে ক্ষেতের দিকে চলিয়া গেল। রাণী তাহার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুক্তার মত অক্ষরে সেই পাতলা কাগজের চারি পৃষ্ঠা ভরিয়া কি যেন লিখিলেন। তাহার পর শিশু-কুমারের সোণার পদকের একদিকের সোণা উঠাইয়া ফেলিয়া গালাগুলি তুলিয়া ফেলিলেন এবং সেই লিখিত কাগজখানি পূরিয়ার মত করিয়া তদ্বারা গালার স্থানটি ভক্তি করিলেন । অবশেষে পদকের ছিদ্রটি প্ৰদীপ জালিয়া অগ্নির উত্তাপে জোড়া দিয়া বন্ধ করতঃ পুনরায় শিশুর গলায় দোলাইয়া দিয়া তাহাকে ঘুম পাড়াইলেন এবং একান্ত অবসন্ন হইয়া খড়ের বেলা-অবসানে বৃদ্ধ কৃষক গৃহে ফিরিয়া দেখিলেন, তাহার অতিথির ঘুম ভাঙ্গে নাই এবং শিশুটি সুবলিত কোমল হন্তে মাতার গলা জড়াইয়া ধরিয়া চীৎকার করিয়া কঁাদিতেছে। বৃদ্ধ وهو