যায় না। ১৮৬৬ অব্দের মন্বন্তরে প্রায় দশ লক্ষ লোক মরিয়াছিল। যদি কোনদিন ১৯৪৩ অব্দের নিরপেক্ষ সত্য বিবরণ বাহির হয়, দেখা গিয়াছে। ১৮৬৫ অব্দে বিভিন্ন জেলার কালেক্টররা আংশিক আজন্মা লক্ষ্য করিয়া প্রকৃত অবস্থা অনসন্ধান করিতে চাহিলেন। কিছ খাজনা মকুব করিবারও কথা হইল। কিন্তু কমিশনারেরা উহা সমর্থনা করিলেন না। রেভেনিউ-বোডও এইরােপ প্রস্তাব সরাসরি বাতিলু করিয়া দিলেন। বোড এক বিস্তত বিবরণীতে বাঙলা-সরকারকে জানাইলেন, ফসল কিছ কম হইতে পারে বটে—কিন্তু তাহাতে ভাবনার কিছ নাই; এই ফসলেই লোকের খাবার কুলাইয়া যাইবে। আগামী বৎসরের জন্য মজত অবশ্য কম থাকিবে, কিন্তু দভিক্ষ হইবার কোনই সম্ভাবনা নাই। ১৯৪৩ অব্দেও সেই অবস্থা। ব্ৰহ্মদেশ বেহাত হইয়া যাইবার পর কথা উঠিল, বৎসরের শেষের দিকে বাঙলায় অন্নাভাব ঘটিতে পারে। কথাটা তুলিলেন, ভারত-সরকারের খব মোটা মাহিনীর এক কমচারী। ব্যস, ঐ পর্যন্ত।। ৩০শে এপ্রিল (১৯৪৩) তারিখের কাগজে বাহির হইল, একটা লোকের শব ব্যবচ্ছেদ করিয়া পেটের মধ্যে ঘাস পাওয়া গিয়াছে। ক্ষধার তাড়নায় হতভাগ্য ঘাস খাইয়াছে, হজম করিতে পারে নাই। কিন্তু উহারই এক সপ্তাহ পরে (৭ই মে) সরবরাহ-সচিব বলিলেন, ‘সঙ্কটের সমাধান আদরবতী”। পরদিন ৮ই মে বলিলেন, “বাস্তবিক পক্ষে বাঙলায় যথেস্ট খাদ্যশস্য রহিয়াছে।” তখনকার খাদ্য-বিভাগের বড়কতা মেজর জেনারেল উড। ১৩ই মে বিস্তর অঙক কাষিয়া দেখাইলেন, বাঙলায় কোন অভাব নাই। কেন্দ্রীয় সরকারের সচিব মাননীয় আজিজল হক ১৫ই মে কৃষ্ণনগরে বলিলেন, “বাঙলায় এখনও চাউলের কমতি হয়। নাই’। ৩০শে তারিখেও “বাঙলার অপ্রচুর খাদ্য রহিয়াছে অথবা আমদানি অপ্রচুর হইতেছে’-একথা সরাবন্দি সাহেব বলিতে পারেন নাই। ১৮৬৬ অব্দে তখনকার লাট স্যার সিসিল বীডনের গবৰ্ণমেণ্ট রাখিয়াছে। ১৯৪৩ অব্দে বাংলা-সরকারও বলিলেন, “বাংলায় যে SV
পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৩২
অবয়ব