দেওরী হইল; দঃস্থদের বাহিরে পাঠানো হইল। সত্তর বৎসর পরে সেই ঘটনারই পনরাবত্তি দেখিতে পাইয়াছি। সেবার কলিকাতা শহরে লোক জমিয়াছিল। পনের ষোল হাজার। ১৯৪৩ অব্দে সরকারি অন্যমান, একলক্ষ । সেবারও রান্না-করা খাদ্য দেওয়া হইত। এ সম্পবন্ধে আপত্তি উঠিয়াছিল। কটকের রিলিফ-ম্যানেজার মিঃ কাকাউডের মতে, এই প্রকার সাহায্য দানে গ্রহীতার নৈতিক অধোগতি হয়। এ কথা ঠিক যে, লোকে রান্নাকরা খাদ্য গোপনে বিক্ৰি করিয়া উদ্দেশ্যের অপব্যবহার করিতে পারে না। কিন্তু আর একটা দিক ভাবিবার আছে। বহ, পরিবারেরই এইরােপ সাহায্য লাইতে ইভজতে বাধে, তাহারা নিঃশব্দে মাতৃত্যুপথের যাত্ৰী হয়। ১৯৪৩ অবোদও এই সমস্যা দেখা দিয়াছে। যাহারা লঙ্গরখানায় যাইতে পারে না, হইয়াছিল ? ১৮৭৩-৭৪ অব্দে দাভিক্ষের সচেনাতেই সরকার অবহিত হইয়াছিলেন, তাই সেবার বেশি লোকক্ষয় হইতে পারে নাই। খাদ্যের সন্ধানে লোকে গ্রাম ছাড়িবার পর্বেই যাহাতে সাহায্য পৌছায়, দেহের শক্তি অবশেষ হইবার আগে যাহাতে কাজ পায়, অতি দ্রুত তাহার ব্যবস্থা হইয়াছিল। প্রাথী সাহায্যের যোগ্য কিনা, এ বিষয়ে স্থানীয় লোকের সাক্ষ্য সকলের চেয়ে প্রামাণ্য। শহরের উপর অন্নসত্র খলিলে এই প্রমাণের উপায় থাকে না; অনেক বাজে লোক সাহায্য পায়, অথচ অধিকাংশ দঃস্থ সেবাকেন্দ্রে পৌঁছিয়া উঠিতে পারে না। যাহাতে এইরকম গোলযোগ না ঘটে, তখনকার ছোটলাট স্যার জজ ক্যাম্পপবেল সে বিষয়ে বিশেষ উদ্যোগী হইয়াছিলেন। লোকজনকে তাহদের ঘরবাড়িতে বসাইয়া নামে নাক্রম এবং গ্রাম হিসাবে ভাগ না করিলে সশঙ্খিল সাহায্য অসম্ভব, এই ছিল তাঁহার অভিমত। পঞ্চাশ হইতে একশ’টি গ্রাম লইয়া এক একটি সাহায্যকেন্দ্র খোলা হইল ; সমগ্র বাঙলাদেশকে এইভাবে ভাগ করিয়া ফেলা হইল। প্রতি কেন্দ্ৰে এক একটি বড় শস্যাগার—সেখান হইতে গ্রামের শস্যভান্ডারে খাদ্য পাঠান হইত। একজন দায়িত্বশীল কমচারী প্রতি সপ্তাহে কাজকম পরিদশর্তন করিতেন। ১৮৭৩-৭৪ অব্দে দভিক্ষ দমনের এই প্রচেস্টা—সকল দিক দিয়া ইহাকে আদর্শস্থানীয় RN
পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৩৫
অবয়ব