বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমস্যা। এই সমস্যার সমাধান চিন্তা করিতে সাহিত্য-সাধকগণকে আমি অনরোধ জানাইতেছি; রাজনীতি ও রাস্ট্র আমাদের পরস্পরের মধ্যে যে ছেদ ঘটাইয়াছে তাহার উপর দিয়া মিলনের সেতু রচনা করিতে সাহিত্যিকগণকে আমি আহবান করিতেছি। বাঙালী বলিয়া আমরা যদি গৌরব বোধ করি, আশা করি কেহ। তাহাকে সািপধা বলিয়া বিবেচনা করিবেন না। আমাদের জীবনেও দঃখ আছে, দারিদ্র্য আছে, অপমান-অত্যাচার আছে এবং হয়তো কিছ বেশী পরিমাণেই আছে। তাহার জন্য আক্ষেপ করিব না; দই শতাব্দীর পরাধীনতা আমাদের দেহ,মনকে যতটা পীড়িত করিয়াছে আর কাহাকেও ততটা আঘাত করিয়াছে কিনা সন্দেহ। আজ বিদেশী শাসনের অবসান ঘটিয়াছে; সংগ্রামে আমরা জয়লাভ করিয়াছি, কিন্তু আমাদের ক্ষতচিহ্ন এখনও মাছিয়া যায় নাই। কখনও যদি নাই। মছে, তাহাতেই বা দঃখ কি ? ব্যক্তিগত সখের জন্য নহে, প্রদেশগত সংবিধার জন্য নহে, সমগ্র দেশের ও সমগ্র জাতির কল্যাণের দিকে চাহিয়া যাহারা বািক পাতিয়া আঘাত সহ্য করে তাহদের ত্যাগ ব্যথ হয় না। কিছকাল যাবৎ ভারতের স্থানে স্থানে সংকীর্ণ প্রাদেশিক বদ্ধির অতিমাত্রায় প্রাদাভােব দেখা দিয়াছে। এখন হইতেই এই ভাব দর করিতে না পারিলে সাম্প্রদায়িকতার ন্যায় প্রাদেশিকতাও ভারতের সমস্যা বাঙলা দেশ বাঙালীর জন্য এই প্রকার ভাবধারা জাতীয়তা এবং ঐক্যের পরিপন্থী। এই সংকীর্ণ প্রাদেশিকতা দরে করিতে হইলে প্রত্যেক প্রদেশের স্থানীয় অধিবাসীদের মত প্রবাসীদেরও তত্তৎপ্রদেশের প্রতি কতব্য আছে। একথা প্রত্যেক প্রদেশের প্রবাসীদের পক্ষে প্রযোজ্য। ইংরেজেরা যেভাবে ভারতবর্ষে দীঘকাল বাস করিয়া দরবীণ দিয়া দর হইতে এ দেশবাসীকে দেখিয়া তাহদের সঙ্গে আত্মীয়তা স্থাপন না। করিয়াই সবদেশে চলিয়া যাইতেন, ভারতবষের এক প্রদেশের লোক অন্য প্রদেশে বাস করিবার সময়ে যেন সেই মনোবাত্তি অবলম্বন না করেন। ভারতে বিভিন্ন প্রদেশগলির যে সবাতন্ত্র্যই গড়িয়া উঠক না কেন, প্রত্যেকেরই ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির মহলে রহিয়াছে এক সংস্কৃত ভাষা এবং এক ভারতীয় সংস্কৃতি। সতরাং ভারতের বিভিন্ন ভাষা এবং SG