ব্যক্তিত্ব, গভীর অন্তদন্টি, তেজোব্যঞ্জক পৌরািষ ও আধ্যাত্মিক শক্তির কথা। তাঁহারই দরিদম্পিট, বহ। বর্ষ পাবে হিন্দ-সমাজের রক্ষা ও সংগঠন কলেপ মিলন-মন্দির ও রক্ষিদল’ গঠন আন্দোলন প্রবতনি করিয়াছিল। তাঁহারই শিক্ষা ও অন্যপ্রেরণার ফলে শক্তি-সমন্বিত এই ভারত-সেবাশ্রম-সংঘ নিজ বাসভূমে পরবাসী সম দািবল ও লাঞ্ছিত হিন্দকে বিপদে উন্নতাশির হইতে শিক্ষা দিতেছেন, ছিন্নভিন্ন ও আত্মকলহপরায়ণ হিন্দ-সমাজকে সংগঠিত একতাবদ্ধ হইবার পথ দেখাইতেছেন, দঃস্থ ও বিপন্ন হিন্দকে সান্ত্বনা ও সাহায্য দান করিতেছেন। কেবল তাঁহাই নহে, সবিদেশে বিসমিতিমগ্ন হিন্দকে তাহার ধমের ও সভ্যতার গৌরবগাঁথা সন্মরণ করাইয়া দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বামীজীর উপদেশ ও অন্যজ্ঞা অনসারে তাঁহার বাণী বহনকারী ভারতসেবাশ্রম-সংঘ পথিবীর দর-দপুরান্তে অবস্থিত স্থানসমাহে হিন্দধম সংঘ জাতির সেবাকাযে যেমন তৎপরতা ও ঐকান্তিকতা দেখাইয়াছেন, সদর দক্ষিণ আমেরিকার ত্রিনিদাদ প্রভৃতি অঞ্চলে এবং পর্ব আফ্রিকাতেও তেমনি হিন্দধমের মঙ্গলশঙ্খ নিনাদিত করিতে সক্ষম হইয়াছেন। পথিবীর যে সমস্ত অনগ্রসর ও অনাদত অঞ্চল হিন্দধমের নাম পর্যন্ত শনে নাই, হিন্দ-সন্ন্যাসীর পবিত্ৰ গৈরিক বসন চক্ষে দেখে নাই, আজ সেখানকার জনগণ শাশ্বত সনাতন বেদবাণী শ্রবণ ও নিমািল আধ্যাত্মিক চিহ্ন প্রত্যক্ষ করিয়া ধন্য হইয়াছে। আমার মনে হয়, ভারতসেবাশ্রম-সংঘের সন্ন্যাসীরা সেই ভবিষ্যৎ যাগের অগ্রদত, যে যাগে হিন্দধম ও হিন্দর সভ্যতা আবার শান্তিপর্ণ অভিযানে বিশ্ববিজয় করিতে সমর্থ হইবে এবং সেই গৌরবময় যাগের চিত্ৰ দেখিয়াছিলেন আচাৰ্য সবামী প্রণবানন্দজী মহারাজী-সেই দশানকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য দেশকে ও জাতিকে মন্ত্রদীক্ষা দিয়া গিয়াছেন তিনিই। আমি আজ শ্রদ্ধাঞ্জলি অপণ করিতেছি। M} }ታ
পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৭৪
অবয়ব