নটীদের দ্বারা যথাক্রমে নভেম্বর ১৭৯৫ এবং মাৰ্চ ১৭৯৬ সালে তিনি অভিনয় করান। ইতিমধ্যে ইংরাজদের রঙ্গালয়ের যথেস্ট উন্নতি হইলেও ১৮৩১ সালের পাবে বাঙলা নাট্যাভিনয়ের সম্পবন্ধে আর কোন সন্ধান পাওয়া যায় না। ইংরাজদের বহ নাট্যশালার মধ্যে বিখ্যাত 'চৌরঙ্গী থিয়েটার’। ১৮১৩ সালে স্থাপিত হয়। দ্বারকানাথ ঠাকুর প্রমািখ কয়েকজন ধনী ব্যক্তি ছাড়া এই রঙ্গালয়ের প্রতি সাধারণ বাঙালীদের প্রথমে কোন আকর্ষণ ছিল না। ১৮৪১ সালে “সাঁ সন্সি” নামে যে ইংরাজি রঙ্গালয়টি স্থাপিত হয়, তাহার অভিনয়-খ্যাতি হইয়াছিল প্রচুর। এই খ্যাতির কারণ হইতেছে এই, সেখানে সম্প্ৰসিদ্ধ সংস্কৃতজ্ঞ হোরেশ হোেম্যান উইলসন, বোডের মেশবার টরেন্স, বোডের জানিয়র মেশবার এইচ, এম, পাকার ও ব্যারিসন্টার হিউম (যিনি পরে কলিকাতার প্রধান ম্যাজিসেন্ট্রট হইয়াছিলেন) প্রভৃতি উচ্চশ্রেণীর শিক্ষিত ইউরোপীয়েনরা অভিনয় করিতেন। যে সব ধনী বাঙালী দশক-হিসাবে এই সব রঙ্গালয়ে যাতায়াত করিতেন, তাঁহারা এখানকার অভিনব অভিনয়-চাতুৰ্য, বিশেষ করিয়া অপরােপ দশ্যাবলী এবং তাহাদিগের ঐন্দ্রজালিক পরিবতন দেখিয়া মন্ধ হইয়াছিলেন। ইউরোপীয় আদশে নিজেদের আমোদ-প্রমোদকে উন্নত ও সশোভিত। করিবার বাসনা তাঁহাদিগের মনে তখন জাগিয়াছিল। এইরপে ১৮৩১ খ্রীস্টাব্দে শ্যামবাজারের নবীনচন্দ্র বসার বাড়ি ‘বিদ্যাসন্দর’ নামে একখানি জনপ্রিয় নাটক বিপােল অর্থ ব্যয় করিয়া অভিনীত হইয়াছিল। এই অভিনয়ের বৈশিষট্য ছিল এই, ইহা ইংরাজি রঙ্গমঞ্চের হ্যবহ অনবকৃতি না হইলেও ইহার মধ্যে নতনত্ব আনিবার একটা সস্পষ্ট চেন্টা ছিল। মেয়েদের চরিত্রগলি বারনারীদের দ্বারা এবং নাটকের বিভিন্ন দশ্য বাড়ির বিভিন্ন স্থানে অভিনীত হইয়াছিল। দশ্য-পরিবতনের সঙ্গে সঙ্গে দশকবন্দকেও দশ্যান যায়ী স্থান আসন সংগ্রহের জন্য অনবরত হটোেপাটি হওয়া সত্ত্বেও, অভিনয়ের মধ্যে নতনত্ব থাকায়, দর্শকদের উৎসাহ বিন্দমাত্র হ্রাস পায় নাই। এই অভিনয়ের সংখ্যাতি হইয়াছিল। প্রচুর এবং সংখ্যাতির সহিত ব্যয়ের পরিমাণটিও তুলনীয়; কারণ ব্যয় হইয়াছিল সর্বসমেত দাই লক্ষ টাকা। অভিনয়ের সংখ্যাতির জন্য এই নাটক তিন-চার বছর ধরিয়া সংযোগ Գ Օ
পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৭৯
অবয়ব