সফল হইল। শ্যামবাজারের রাজেন্দ্রলাল পালের গহে স্থায়ী রঙ্গমঞ্চে এই অভিনয় হইল। ইতিমধ্যে বাগবাজার দলের নাম হইয়াছিল “ক্যালকাটা ন্যাশনাল থিয়েটার”। পরে আবার বদলাইয়া ‘ন্যাশন্যাল থিয়েটার” হইয়াছিল। এই অভিনয় আশাতীত সাফল্যলাভ করিয়াছিল। এবং দীনবন্ধ নিজে উপস্থিত থাকিয়া যে প্রকার আনন্দলাভ করিয়াছিলেন, তাহার সীমা ছিল না। নাট্যকার নিজে, ডাঃ মহেন্দ্রলাল সরকার এবং অনেক বিশিলট ব্যক্তি উপস্থিত থাকিয়া এই অভিনয়ের প্রত্যেক চরিত্রের প্রশংসা করিয়াছিলেন। ‘লীলাবতীর অভিনয় এত জনপ্রিয় হইয়াছিল যে, প্রত্যেক শনিবারে ইহার অভিনয় করিতে হইত। হাজারে হাজারে দশক আসিত এবং ভীড় কমাইবার জন্য ও স্থান সংকুলানের টিকিট দেওয়া হইত। মজার কথা এই যে, দলে দলে লোক আসিত এবং তাহারা যে নাটকের রস-গ্রহণে সক্ষম তাহার জন্য পরিচয়পত্র দাখিল করিত। পাঁচ রাত্রি অভিনয়ের পর প্রবল ঝড় ও বন্টির জন্য অভিনয় বন্ধ করিতে হইয়াছিল। সম্ভবয়ং নাট্যকার এবং গিরিশচন্দ্রের পরামশে “ন্যাশন্যাল থিয়েটার” দীনবন্ধর বিখ্যাত নাটক নীলদর্পণ অভিনয়ের ব্যবস্থা করিতে লাগিল। ধমদাস সরের প্রতিবেশী ভুবনমোহন নিয়োগী এই বইয়ের রিহাসালের জন্য গঙ্গাতীরে একটি বাড়ি দিলেন। নীলদপণের অভিনয়ের অব্যবহিত পবে টিকিট বিক্রয় করিয়া অভিনয়ের বিষয়ে সভ্যদের মধ্যে বিরোধ বাধিল । তাহার ফলে একটি দল ভাঙিয়া দাইটি হইল। টিকিট বিক্রয়ের পক্ষে যে দল, সে-দলের নেতা হইলেন অধোিন্দ: ; আর ইহার বিপক্ষ দলের অধিনায়ক হইলেন গিরিশচন্দ্ৰ। লীলাবতীর অভিনয়সাফল্যে উৎসাহিত হইয়া কয়েকজন অভিনেতা বিনামল্যে অভিনয় দেখানোর প্রথা তুলিয়া দিতে চাহিলেন। তাঁহাদিগের মতে, প্রবেশ মাল্য লইয়া অভিনয় করিয়া যে লাভ হইবে, তাহার দ্বারা দলের অনেক দরিদ্র অভিনেতাকে সাহায্য করা যাইবে। কিন্তু গিরিশচন্দ্রের ব্যক্তি ছিল অন্য প্রকারের। তিনি মনে করিয়াছিলেন যে, এইরােপ প্রথা প্রবতন করিলে বিদেশীদের নিকট তাঁহারা হাস্যাসপদ হইবেন, কারণ “বাঙালী” কথাটি উচ্চারণ করিতে এখনই তাঁহারা নাক সিটকাইয়া থাকেন। “ন্যাশনাল foCA
পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৯৩
অবয়ব