পাতা:শ্রীকান্ত-প্রথম পর্ব-কিশোর সংস্করণ.djvu/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐীকান্ত > >> চেষ্টা করিতাম, কিন্তু মনে হইল সব বৃথা । এখানে আমি ইচ্ছা করিয়া আসি নাই—আসিবার কল্পনাও করি নাই । সুতরাং চঞ্চল হইয়। ছট্‌ফট্‌ করা সম্পূর্ণ অনাবশ্যক মনে করিয়া কোন প্রকার গতির চেস্টামাত্র না করিয়া যখন স্থির হইয়া বসিলাম, তখন অকস্মাৎ যে জিনিসটি চোখে পড়িয় গেল, তাহার কথা আমি কোন দিন বিস্মৃ ত হই নাই । রাত্রির যে একটা রূপ আছে, তাহাকে পৃথিবীর গাছ-পালা, পাহাড়-পদত, জল-মাটি, বন-জঙ্গল প্রভৃতি যাব শয় দৃশ্যমান বস্তু হইতে পৃথক কবিয়া, একান্ত করিয়া দেখা যায়, ইহা যেন আজ এই প্রথম চোখে পড়িল । চাহিয়৷ .দখি, অন্তহীন কলে৷ আকাশ-তলে পুথিবী-জোড় আসন করিয়। গভীর রাত্রি নিমলিতচক্ষে ধানে বসিয়াছে, আর সমস্ত বিশ্ব চরাচর মুখ বুজিয়া নিশ্বাস রুদ্ধ করিয়! অত্যন্ত সাবধানে স্তব্ধ হইয়৷ সেই অটল শাস্তি রক্ষা করিতেছে। হঠাৎ চোখের উপরে যেন সৌন্দর্ঘ্যের তরঙ্গ খেলিয়৷ গেল । মনে হইল, কোন মিথ্যাবাদী প্রচার করিয়াছে-—আলোই রূপ, আঁধারের রূপ নাই ? এতবড় ফাকি মামুয়ে কেমন করিয়| নীরবে মানিয়া লইয়াছে ! এই যে আকাশ-বাতাস স্বৰ্গ-মৰ্ব্য পবিবর্ণগু করিয়া দৃষ্টির অন্তরে-বাহিরে আঁধারের প্লাবন বহিয়৷ যাইতেছে, মরি । মরি ; এমন অপরূপ রূপের প্রস্রবণ আর কবে দেখিয়াছি ! এ ব্ৰহ্মাণ্ডে যাহা যত গভীর, যত অচিন্তা, যত সামাহন—তাহ ত ততই অন্ধকার । অগাধ বারিধি মসি-কৃষ্ণ ; অগম্য গহন অরণ্যানা ভীষণ অর্ণধার ; সৰ্ব্বলোকপ্রিয়, আলোর আলে, গতির গতি, জীবনের জীবন, সকল সৌন্দর্যের