পাতা:শ্রীকান্ত-প্রথম পর্ব-কিশোর সংস্করণ.djvu/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২ • শ্রীকান্ত যিনি কিছুকাল পূর্বেই রাজা-রাজড়ার মজলিসে বসিয়া বাইজার গান শুনিতেছিলেন । ত যাক । ঘণ্ট-খানেক পরে গুরুমহারাজের সমীপে দীক্ষার জন্তু নীত হইলাম। মহারাজ চেহারা দেখিয়া সাতিশয় প্রীত হইয়া বললেন, বেটা, মহিনী এক-আধ ঠহরে। মনে মনে বহুত আচছ বলিয় তাহার পদধূলি গ্রহণ করিয়া যুক্ত করে, ভক্তিভরে একপাশে বসিলাম । আজ কথায় কথায় তিনি অধ্যাত্মিকতার অনেক উপদেশ দিলেন । মহারাজের আদেশে আমাদের সেবার ব্যবস্থাট। একটু কঠোর রকমের ছিল । তাহার পরিমাণও যেমন, রসনাতেও তাহা তেমনি । চা, রুটি, ঘৃত, দধিদুগ্ধ, চুড়, শর্কর ইত্যাদি কঠোর সাত্তিক ভোজন এবং তাহা জীর্ণ করিবার অনুপাম । আবার ভগবৎপদারবিন্দ হইতেও চিত্ত বিক্ষিপ্ত না হয়, সে দিকে ও আমাদের লেশমাত্র অবহেলা ছিল না। ফলে আমার শুকনে কঠে ফুল ধরিয়া গেল—একটুখানি ভূড়ির লক্ষণও দেখা দিল । একট। কাজ ছিল—ভিক্ষায় বাহির হওয়া । মহারাজ নিজে ইহা করিতেন না, আমরা তাহার সেবকেরা পাল করিয়৷ করিতাম। সন্ন্যাসীর অপরাপর কর্তবে আমি তাহার অন্য দুই চেলাকে অতি সত্বর ডিঙাইয়া গেলাম ; শুধু এইটাতেই বরাবর খোড়াতেই লাগিলাম। এটা কোন দিনই নিজের কাছে সহজ এবং রুচিকর করিয়া তুলিতে পারিলাম না। এমনি দিন যায়। দিনপনর ত সেই আম-বাগানের মধ্যেই কটিয়া গেল। দিনের-বেলা