পাতা:শ্রীকান্ত-প্রথম পর্ব-কিশোর সংস্করণ.djvu/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীকান্ত VII হইবে, যাহা সুপবিত্র হইলেও খাদ্য নয় ? তাহারা স্পষ্ট করিয়া প্রতি বাড়ীতেই বলিয়া দিয়াছেন যে, ইহাতে উহাদের কোনই হাত নাই ; কারণ জীবিত থাকিতে র্তাহার অশাস্ত্রীয় কাজ সমাজের মধ্যে কিছুতেই ঘটিতে দিতে পরিবেন না । আমরা অনন্তোপায় হইয়। ডাক্তারবাবুর শরণাপন্ন হইলাম । তিনিই তখন সহরের সববশ্রেষ্ঠ চিকিৎসক এবং বিন! দক্ষিণায় বাঙালীর বাটতে চিকিৎসা করিতেন । আমাদের কাহিনী শুনিয় ডাক্তারবাবু ক্রোধে জ্বলিয়া উঠিয় প্রকাশ করিলেন, যাহার। এইরূপ নিৰ্য্যা তন করিতেছে, তাহাদেব বাটার কেহ চোখের সম্মুখে বিনচিকিৎসায় মরিয়া গেলেও তিনি সেদিকে আর চাহিয়! দেখিবেন না । কে এ কথ। তাঁহাদের গোচর করিল, জানি না। দিব অবসান ন হইতেই শুনিলাম, কেশচ্ছেদের আবশ্যকতা নাই, শুধু 'ঘাট্‌ মানিয়া সেই সুপবিত্র পদার্থ-ট। ভক্ষণ করিলেই হইবে। আমরা স্বীকার না করায় পরদিন প্রাতঃকালে শুনিলাম, 'ঘাট্‌ মানিলেই হইবে—ওট। না হয় নাই খাইলাম । ইহাও অস্বীকার করায় শোনা গেল, আমাদের এই প্রথম অপরাধ বলিয় তাহার এমনই মার্জনা করিয়াছেন— প্রায়শ্চিত্ত করিবার আবশ্যকতা নাই ! কিন্তু ডাক্তারবাবু কহিলেন, প্রায়শ্চিত্তের আবশ্যকতা নাই বটে, কিন্তু তাহারা যে এই দুটা দিন ইহাদিগকে ক্লেশ দিয়াছেন, সেই জন্য যদি প্রত্যেকে আসিয়া ক্ষম। প্রার্থনা করিয়া না যান, তাহা হইলে তাহার যে কথা সেই কাজ : অর্থাৎ কাহারও বাটতে যাইবেন না। তারপর সেই সন্ধ্য-বেলাতেই ডাক্তারবাবুর বাটতে একে একে বৃদ্ধ সমাজপতিদিগের শুভাগমন হইয়াছিল। কিন্তু আমাদিগকে প্রায়শ্চিত্ত করিতে হয়ই নাই ।