পাতা:শ্রীকান্ত-প্রথম পর্ব-কিশোর সংস্করণ.djvu/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীকান্ত ○○ দেখিয়া আমি ক্ষণকালের জন্য বিস্ময়ে অভিভূত হইয়া গেলাম। আমি যখন আমাদের গ্রামের মনসা পণ্ডিতের পাঠশালার সর্দারপোড়ে, সেই সময়ে ইহার দুইপুরুষে কুলীন বাপ আর একটা বিবাহ করিয়া ইহার মাকে তাড়াইয়া দেয়। স্বামী-পরিত্যক্ত ম৷ স্বরলক্ষী ও রাজলক্ষী দুই মেয়ে লইয়া বাপের বাড়ী চলিয়া আসে। ইহার বয়স তখন আট-নয় বৎসর ; স্বরলক্ষার বারেতেরে। ইহার রঙটা বরাবরই ফস1; কিন্তু ম্যালেরিয়া ও প্লীহায় পেট্রট। ধামার মত, হাত-পা কাঠির মত, মাথার চুলগুলা তামার শলার মত—কতগুলি তাই গুণিয়া বলা যাইতে পারিত । আমার মারের ভয়ে এই মেয়েটা বঁইচির বনে ঢুকিয়া প্রতাহ একছড়া পাকা বঁইচি ফলের মালা গাথিয়া আনিয়। আমাকে দি ৩ ; সেট। কোন দিন ছোট হইলেই, পুরানো পড়া জিজ্ঞাস করিয়া, ইeাকে প্রাণ ভরিয়৷ চপেটাঘাত করিতাম। মার খাইয়। এই মেয়েটা ঠোট কামড়াইয়া গোজ হইয়া বসিয়া থাকিত ; কিন্তু কিছুতেই বলিত না—প্রত্যহ পাকা ফল সংগ্রহ করা তাহার পক্ষে কত কঠিন । তা সে যাই হোক, এতদিন জানিতাম, মারের ভয়েই সে এত ক্লেশ স্বীকার করিত ; কিন্তু আজ যেন হঠাৎ একটুখানি ংশয় হইল। ত৷ সে যাক। তার পরে ইহার বিবাহ । সেও এক চমৎকার ব্যাপার : ভাগ্নীদের বিবাহ হয় না, মাম। ভাবিয়। খুন। দৈবাৎ জানা গেল, বিরিঞ্চি দত্তের পাচক ব্রাহ্মণ ভঙ্গকুলানের সন্তান। এই কুলীন-সন্তানকে দত্তমশাই বাঁকুড়া হইতে বদলী হুইয়া আসার সময় সংগ্ৰহ করিয়া আনিয়াছিলেন। বিরিঞ্চি দত্তের দুয়ারে মাম। ধন্ন দিয়া পড়িলেন—ব্রাহ্মণের জাতিরক্ষ।