পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীকান্ত বাপ । চমকিয়া উঠিলাম। সম্মুখে চাহিয়া দেখি, ধূসর বালুর বিস্তীর্ণ প্ৰান্তর এবং তাহাকেই বিদীর্ণ করিয়া শীর্ণ নদীর বক্ররেখা আঁকিয়া বঁাকিয়া কোন সুদূরে অন্তহিত হইয়া গেছে। সমস্ত প্ৰান্তর ব্যাপিয়া এক-একটা কাশের ঝোপ । অন্ধকারে হঠাৎ মনে হইল, এগুলো যেন এক-একটা মানুষ-আজিকার এই ভয়ঙ্কর অমানিশায় প্ৰেতাত্মার নৃত্য দেখিতে আমন্ত্রিত হইয়া আসিয়াছে এবং বালুকার আস্তরণের উপর যে যাহার আসন গ্ৰহণ করিয়া নীরবে প্ৰতীক্ষা করিতেছে । মাথার উপর নিবিড় কালো আকাশ, সংখ্যাতীত গ্ৰহ-তারকাও আগ্রহে চোখ মেলিয়া চাহিয়া আছে। হাওয়া নাই, শব্দ নাই, নিজের BD BDBDD DDB DBBDB DBD DBDS SSBBLDLD TBDB gDBDB সাড়া পৰ্যন্ত অনুভব করিবার জো নাই । যে রাত্রিচর পাখিটা একবার ‘বাপ বলিয়াই থামিয়াছিল, সেও আর কথা কহিল না। BBiBDSDB uB BuB DBDDBDDYTDBDB BBD BDBKD S SLDDDDD শিকারে আসিয়া সেই যে শিমুলগাছগুলা দেখিয়া গিয়াছিলাম, কিছুদূর আসিতেই তাহদের কালো ডাল-পালা চোখে পড়িল। ইহারাই মহাশ্মশানের দ্বারপাল । ইহাদের অতিক্ৰম করিয়া যাইতে হইবে। এইবার অতি অক্ষুট প্রাণের সাড়া পাইতে লাগিলাম ; কিন্তু তাহা আহলাদ করিবার মত নয়। আরও একটু অগ্রসর হইতে, তাহা পরিস্ফুট হইল। এক-একটা মা "কুম্ভকর্ণের ঘুম’’ ঘুমাইলে তাহার কচি ছেলেটা কঁাদিয়া কঁাদিয়া শেষকালে নিজীবি হইয়া যে প্রকারে রহিয়া রহিয়া কঁাদে, ঠিক তেমনি করিয়া শ্মশানের একান্ত হইতে কে যেন কঁাদিতে লাগিল । যে এ ক্ৰন্দনের ইতিহাস জানে না, এবং পূর্বে শুনে নাই-সে যে গভীর অমানিশায় একাকী সেদিকে আর এক-পা অগ্রসর হইতে চাহিবে না, তাহা বাজি রাখিয়া বলিতে পারি। সে যে মানব-শিশু নয়, শকুন-শিশু --অন্ধকারে মাকে দেখিতে না পাইয়া কঁাদিতেছে-না জানিলে কাহারো সাধা নাই, এ-কথা ঠাহর করিয়া বলে । আরো কাছে আসিতে দেখিলাম --ঠিক তাই বটে। কালো কালো বুড়ির মত শিমূলের ডালে ডালে