পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

५é Von B এই ছন্নছাড়া জীবনের যে অধ্যায়টা সেদিন রাজলক্ষ্মীর কাছে শেষ বিদায়ের ক্ষণে চোখের জলের ভিতর দিয়া শেষ করিয়া দিয়া আসিয়াছিলাম, মনে করি নাই, আবার তাহার ছিন্ন-সূত্র যোজনা করিবার জন্য আমার ডাক পড়িবে। কিন্তু ডাক যখন সত্যই পড়িল, তখন বুঝিলাম, বিস্ময় এবং সংকোচ আমার যত বড়ই হোক, এ আহবান শিরোধাৰ্য করিতে লেশমাত্র ইতস্ততঃ করা চলিবে না । তাই, আজ আবার এই ভ্ৰষ্ট জীবনের বিশৃঙ্খল ঘটনার শতছিন্ন গ্ৰন্থিগুলি আর একবাব বঁধিতে প্ৰবৃত্ত হইয়াছি। আজ মনে পড়ে, বাড়ি ফিরিয়া আসিবার পরে, আমার এই সুখে-দুঃখে৷ মেশানো জীবনটাকে কে যেন হঠাৎ কাটিয়া দুই ভাগে ভাগ করিয়া দিয়াছিল। তখন মনে হইয়াছিল, আমার এ জীবনের দুঃখের বোঝা আর আমার নিজের নয়। এ বোঝা বহিয়া বেড়াক সে-যাহার নিতান্ত গরজ । অর্থাৎ আমি যে দয়া করিয়া বঁচিয়া থাকিব, এই ত রাজলক্ষ্মীর ভাগ্য । চোখে আকাশের রঙ বদলাইয়া গেল, বাতাসের স্পর্শ আর একরকম করিয়া গায়ে লাগিতে লাগিল,-কোথাও যেন আর ঘর-বার, আপনার-পর রহিল। না। এমনি এক প্রকার অনির্বচনীয় উল্লাসে অন্তরী-বাহির একাকার হইয়। উঠিল যে, রোগকে রোগ বলিয়া, বিপদকে বিপদ বলিয়া, অভাবকে অভাব বলিয়া আর মানেই হইল না । সংসারে কোথাও যাইতে, কোনও কিছু DBBD DBDSDBDBDD DBB BBuDD BDBB DDD K S এসব অনেক দিনের কথা। সে আনন্দ আর আমার নাই ; কিন্তু সেদিনের এক একান্ত বিশ্বাসের নিশ্চিন্ত নির্ভরতার স্বাদ একটা দিনের জন্যও যে জীবনে উপভোগ করিতে পাইয়াছি, ইহাই আমার পরম লাভ । অথচ, হারাইয়াছি বলিয়াও কোনদিন ক্ষোভ করি না। শুধু এই কথাটাই মাঝে মাঝে মনে হয়, যে-শক্তি সেদিন এই হৃদয়টার ভিতর হইতেই জাগ্ৰত হইয়া এত সত্বর সংসারের সমস্ত নিরানন্দকে হরণ করিয়া লইয়াছিল, সে কি دس (g(sم