পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীকান্ত Rr নন্দ কহিল, সেদিকেও সুবিধে হয়েছে। বাবুকে একবার দেখা ত ख्रिश्नांद्र ! টগর একটা ছোট পুটুলি পা দিয়া ছুড়িয়া ফেলিয়া দিয়া বলিলদেখাও গে তুমি নন্দ কহিল, যাই বলুন বাবু, কাবুলি জাতটাকে নেমকহারাম বলা যায় না । ওরা বসগোল্লাও যেমন খায়, ওব কাবুল দেশেব মোট রুটিও অমনি বেঁধে দেয়। ফেলিস নে টগর, তুলে বাখ, তোব মালসা-ভোগে লেগে যেতে পাবে । নন্দর এই পবিহাসে আমি হো হো করিয়া হাসিয়া ফেলিলাম, কিন্তু পরীক্ষণেই টগরের মুখেব পানে চাহিযা ভয় পাইয়া গেলাম। ক্ৰোধে সমস্ত মুখ কালো করিয়া, মোটা গলায় বজ-কৰ্কশ শব্দে জাহাজের সমস্ত লোককে সচকিত কবিয়া, টগর চীৎকাব কবিয়া উঠিল-জাত তুলে কথা ক’য়ে না বলচি, মিস্তিবী-ভিাল হবে না, তা বলচি চীৎকার শব্দে যাহারা মুখ তুলিযা চাহিল, তাহাদের বিস্মিত দৃষ্টির সম্মুখে নন্দ এতটুকু হইয়া গেল। টগরকে সে ভালমতেই চিনিত, একটা বেফাস ঠাট্টার জন্য তাহার ক্রোধটা সে শান্ত করিতে পারিলেই বঁাচে । লজ্জিত হইয়া তাড়াতাড়ি বলিল, মাথা খাস টগর, রাগ করিস নৌ-আমি তামাশা করেচি বৈ তা নয়। টগর সে কথা কানেও তুলিল না। চোখের তারা, ভুরু একবার বামে ও একবার দক্ষিণে ঘুরাইয়া লইয়া, গলার সুর আরও এক পৰ্দা চড়াইয়া দিয়া বলিল, কিসের তামাশা ! জাত তুলে আবার তামাশা কি ? মোচলমানের রুটি দিয়ে মালসা-ভোগ হবে ? তোর কৈবত্তের মুখে আগুন -দরকার থাকে, তুই তুলে রাখগে-বাপের পিণ্ডি দিস।। জ্যা-মুক্ত ধনুর মত নন্দ খাড়া দাড়াইয়া উঠিয়াই টগরের কেশাকর্ষণ করিয়া ধরিল-হারামজাদী, তুই বাপ তুলিস। টগর কোমরে কাপড় জড়াইতে জড়াইতে, হঁপাইতে হাঁপাইতে বলিল, হারামজাদা, তুই জাত তুলিস। বলিয়াই আকৰ্ণ মুখব্যাদান করিয়া নন্দর বাহুর একাংশ দংশন করিয়া ধরিল, এবং মুহুর্ত-মধ্যেই নন্দ মিস্ত্রী ও