পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীকান্ত মধ্যে গৌরব এবং মঙ্গল কতখানি বিদ্যমান, সে আলোচনা এখন থাক ; কিন্তু এ কথা আমি অসংশয়ে বলিতে পারি যে, ষােহারা নিজেদের গ্রামটুকুর মধ্যে অত্যন্ত নিরাপদে প্রতিষ্ঠিত থাকিয়া ইহাকে পুরুষানুক্ৰমে-প্ৰাপ্ত BBBD BDB SDD BDBBS DBYYY gD S BDDBDS KDBSKz SDD করিবার দুরূহতা সম্বন্ধে র্যাহাদের লেশমাত্র অবিশ্বাস নাই, তঁাহারা একটা ভুল জিনিস জানিয়া রাখিয়াছেন। বস্তুতঃ যে কোন দেশে খাওয়াছোয়ার বাছবিচার প্রচলিত নাই, তেমন দেশে পা দেওয়া মাত্রই বেশ দেখিতে পাওয়া যায়, এই ছাপ্পান্ন পুরুষের খাওয়া-ছোয়ার শেকল কি করিয়া না জানি রাতারাতিই খসিয়া গেছে। বিলাত গেলে জাতি যায় ; একটা মুখ্য কারণ, নিষিদ্ধ মাংস আহার করিতে হয়। যে নিজের দেশেও কোন কালে মাংস খায় না, তাহারও যায়। কারণ, জাতি মারিবার মালিকের বলেন, সে ও একই কথা,--না খেলেও, সে ওই খাওয়াই ধরে নিতে হবে। নেহাৎ মিথ্যা বলেন না । বৰ্মা ত তিন চার দিনের পথ, অথচ দেখি, পনের আনা বাঙালী ভদ্রলোকই-বোধ করি ব্ৰাহ্মণই বেশি হইবেন, কারণ, এ যুগে তাহদের লোভটাই সকলকে হার মানাইয়াছে-জাহাজের হোটেলে সস্তায় পেট ভরিয়া আহার করিয়া ডাঙ্গায় পদার্পণ করেন। সেখানে মুসলমান ও গোয়ানিজ পাচক ঠাকুরের কি রাধিয়া সার্ভ করিতেন, প্রশ্ন করা রূঢ় হইতে পারে। কিন্তু তাহারা যে হবিষ্যান্ন পাক করিয়া কলাপাতায় তাহাদিগকে পরিবেশন করে নাই, তাহ ভাটপাড়ার ভট্টচায্যিদের পক্ষেও অনুমান করা বোধ করি কঠিন নয়। আমি ত সহযাত্রী। যাহারা নিতান্তই এই সকল খাইতে চাহেন না, তঁহারা অন্ততঃ চা-রুটি, ফলট-পাকড়টাও ছাড়েন না। অথচ, সেই একদম নিষিদ্ধ মাংস হইতে বর্তমানে রম্ভ পৰ্যন্ত সমস্তই একত্রে গাদাগাদি করিয়া জাহাজের কোল্ড-রুমে রাখা হইয়া থাকে, এবং তাহা কাহারও অগোচর রাখার পদ্ধতিও জাহাজের নিয়ম-কানুনের মধ্যে দেখি নাই। তৰে আৱাম এইটুকু যে, বৰ্ম-প্রবাসীর জাতি যাইবার আইনটা বোধ করি কোন গতিকে শাস্ত্রকারের কোডিসিলটা এড়াইয়া গেছে। না হইলে হয়ত আবার একটা ছোট-খাটো