পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चैकोस् tr ক্ৰমে সমস্ত জিনিসপত্র জাহাজে উঠিল, যাত্রীরা সব ঠেলা ঠেলি কবিয়া গিয়া উপরে উঠিল, অ-যাত্রীরা নামিয়া আসিল, সুমুখের দিকে নোঙর তোলা চলিতে লাগিল-এইবার ছোটবাবু তঁাহার দ্রব্যসম্ভাবের হেফাজত করিয়া, জাযগা ঠিক করি যা তাহাব বমী-স্ত্রীর কাছে বিদায়ের ছলে সংসারের নিষ্ঠুরতম এক অঙ্কের অভিনয করিতে জাহাজ হইতে নামি যা আসিলেন । দ্বিতীয় শ্রেণীর যাত্ৰী-সে। অধিকাৰ ভঁাহার ছিল। আমি অনেক সময় ভাবি, ইহার কি প্ৰযোজন ছিল ? কেন মানুষ গায়ে পড়িয়া আপনাব মানব-আত্মাকে এমন করিয়া অপমানিত করে ! DD BYSBBD uD BD DBDS BDBD D SDB kuuS S SS S Y DBDSDS জননীব জাতি ! তাহাবই আশ্রয়ে সে ত এই সুদীর্ঘ কাল স্বামীর সমস্ত অধিকার লইয়া বাস করিয়াছে । তাহাব বিশ্বস্ত হৃদয়ের সমস্ত মাধুৰ্য, সমস্ত অমৃত সে ত কায়মনে তাহাকেই নিবেদন করিয়া দিয়াছিল । তবে কিসের লোভে সে এই অগণিত লোকোব চক্ষে তাহাকেই এত বড় নির্দয় বিদ্রুপ ও হাসির পাত্রী করিয়া ফেলিয়া গেল ! লোকটা এক হাতে রুমাল দিয়া নিজের দুচক্ষু আবৃত করিয়া এবং অপর হাতে তাহার বমীস্ত্রীর গলা ধরিয়া কান্নার সুরে কি সব বলিতেছে এবং মেয়েটি আঁচলে মুখ ঢাকিয়া উছুসিত হইয়া কঁদিতেছে। আশেপাশে অনেকগুলি বাঙালী ছিল। তাহারা কেহ মুখ ফিরাইয়া হাসিতেছে ; কেহ বা মুখে কাপড় গুজিয়া হাসি চাপিবাব চেষ্টা করিতেছে। আমি একটু দূরে ছিলাম বলিয়া প্রথমটা কথাগুলা বুঝিতে পারি নাই, কিন্তু কাছে আসিতেই সকল কথা স্পষ্ট শুনিতে পাইলাম । লোকটা রোদনের কণ্ঠে বর্মী-ভাষায় এবং বাঙ্গলা ইতর ভাষায় মিশাইয়া ' বিলাপ করিতেছে। বাঙ্গলাটা কথঞ্চিৎ মাজিত করিয়া লিখিলে এইরূপ শোনায়-“একমাস পরে রংপুর হইতে তামাক কিনিয়া যা আসিব, তা আমিই জানি। ওরে আমার রতনমণি ! তোকে কদলী প্ৰদৰ্শন করিয়া চলিলাম রে, কদলী প্ৰদৰ্শন করিয়া চলিলাম।” এগুলি শুধু আমাদের মত কয়েকজন অপরিচিত বাঙালী দর্শকদের আমোদ দিবার জন্যই ; কিন্তু মেয়েটি ত বাঙ্গলা বুঝে না, শুধু কায়ার