পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীকান্ত যাই হােক, তাহার উন্নতির বীজ-মন্ত্রম্বরূপ সৎপরামর্শের জন্য লুব্ধ হইয়া উঠিলাম। তিনি কহিলেন, দেখুন, দানটান করার কথা ছাড়িয়া দিন-মাথার ঘাম পায়ে ফেলিয়া রোজগার করিতে হয়,-“এক কোমর মাটি খুড়িলেও একটা পয়সা মিলে না। সে কথা বলি না ; নিজের মুখে-রক্ত-ওঠা কড়ি,-আজিকালিকার দুনিয়ায় এমন পাগল আর কেই বা আছে! নিজের ছেলেপুলে, পরিবারের জন্য রেখেখুয়ে তবে ত?-সে কথা ছেড়েই দিন, তা নয় ; কিন্তু দেখুন, যার সংসারে দেখবেন টানাটানি, কদাচি তেমন লোককে আমল দেবেন না। বেশি নয়, দু’চার দিন আসাযাওয়া ক’রেই নিজে হতেই নিজের সংসারের কষ্টের কথা তুলে দুটাকা চেয়ে বসবে। দিলে ত গোলই, ত’ ছাড়া বাইরের ঝগড়া ঘরে টেনে আনা । দু’। দু’টাকাব মায়া কিছু আর সত্যিই কেহ ছাড়তে পারে না।--তাগাদ করতে হয়। তখন হাঁটাহাটি, ঝগড়াঝাটি,-কেন আমার তাতে আবশ্যক কি, বলুন দেখি ? 'श्राभि चाg नाgिश्। वलिलाभ, जडिाझे ऊ ! তিনি উৎসাহিত হইয়া বলিলেন, আপনি ভদ্রসন্তান, তাই কথাটা চাটু ক’বে বুঝলেন ; কিন্তু এই ছোটলোক লোহা-কাটা ব্যাটাদের বুঝাও দেখি ! হারামজাদা ব্যাটারা সাত জন্মেও বুঝবে না। ব্যাটাদের নিজের এক পয়সা নাই, তবু পবের কাছে কার্জ ক’রে আর একজনকে টাকা এনে দেবে,- এই ছোটলোক ব্যাটারা এমন আহাম্মুখ! একটু চুপ করিয়া কহিলেন, তবেই দেখুন, কদাচ কাহাকেও টাকা ধার দিতে নাই। বলে, বড় কষ্ট ! কষ্ট তা আমার কি বাপু । আর যদি সত্যই কষ্ট ত দু’ভরি সোনা এনে রেখে যাও না, দিচ্ছি। দশ টাকা ধার। কি বলেন ? दब्लिन्नाभ, कि उ ! তিনি বলিলেন ঠিক নয়। আবার। একশো বার ঠিক! আর দেখুন, ঝগড়া-বিবাদের স্থানে কখনও যাবেন না। একজন খুন হয়ে গেলেও না। প্রয়োজন কি আমার ? ছাড়াতে গেলেও হয় তা হু’ এক ঘা নিজের গায়েই লাগবে ; তা ছাড়া, এক পক্ষ সাক্ষী মেনে বসবে। তখন ov