SS Stry বলিয়াও খ্যাতি আছে, তথাপি তঁাহার পরামর্শ এই যে রোগীকে অচিরে স্থানান্তরিত করা আবশ্যক । আবার একবার বাধা-ছাদা সুরু হইয়া গেল, কিন্তু এবার কিছু ঘটা করিয়া । রতনকে একলা পাইয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, এবার কোথায় যাওয়া হবে রতন ? দেখিলাম, এই নব-অভিযানের সে একেবারেই বিপক্ষে । সে খোলা দরজার প্রতি নজর রাখিয়া আভাসে ইঙ্গিতে এবং ফিসফিস করিয়া যাহা কহিল, তাহাতে আমিও যেন দমিয়া গেলাম। রতন কহিল, বীরভূম জেলার এই ছোট গ্রামখানির নাম গঙ্গামাটি । ইহার পত্তনি যখন কেনা হয়, তখন সে একবার মাত্ৰ মোক্তারাজী কিষণলালেব সহিত সেখানে গিয়াছিল। মা নিজে কখনও যান নাই-একবার গেলে পলাইয়া আসিতে পথ পাইবেন না । গ্রামে ভদ্র পরিবার নাই বলিলেই হয়--কেবল ছোটজাতে ভরা-তাদের না ষ্ঠোয় যায়, না আসে তার কোন কাজে । রাজলক্ষ্মী কেন যে এইসব ছোটজাতির মধ্যে গিয়া বাস করিতে চাহিতেছে, তাহার হেতু যেন কতকটা বুঝিলাম । জিজ্ঞাসা করিলাম, গঙ্গামাটি কোথায় ? রতন জানাইল, সাইথিয়া না কি এমনি একটা ইষ্টিশান হইতে প্ৰায় দশ-বারো ক্রোশ গরুর গাড়ীতে যাইতে হয়। পথ যেমন দুৰ্গম, তেমনি ভয়ানক। চারিদিকে মাঠ আর মাঠ । তাতে না হয়। ফসল, না আছে এক ফোটা জল। কঁাকুরে মাটি, কোথাও রাঙা, আবার কোথাও যেন পুড়িয়া কালো হইয়া আছে। এই বলিয়া সে একটুখানি থামিয়া আমাকেই বিশেষ লক্ষ্য করিয়া পুনশ্চ কহিল, বাবু, মানুষে যে সেখানে কি সুখে থাকে। আমি ত ভেবে পাইনে !! আর যারা এইসব সোনার জায়গা ছেড়ে সে দেশে যেতে চায় তাদের আর কি বলবো । মনে মনে একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া মৌন হইয়া রহিলাম। এইসকল সোনার স্থান ত্যাগ করিয়া কেন যে সেই মরুভূমির মধ্যে নির্বান্ধব ছোটলোকের দেশে রাজলক্ষ্মী আমাকে লইয়া চলিয়াছে, তাহা ইহাকে বলাও यांझें ना, दूबॉनie प्रल न।