পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चैकाल्नु ey অকাল-মৃত্যু বোধ করি আর কখনও তেমন করুণভাবে আমার চোখে LS DuSS S uuD BB DBT DD BDBDDBDD DBDLD BDBDBDS LDBDS DBB করিয়া না দেখিলে বোধ করি দেখাই হয় না । গভীর নিশীথে চারিদিক নিবিড় স্তব্ধতায় পরিপূর্ণ। শুধু মাঝে মাঝে ঝোপ-ঝাড়ের অন্তরালে শ্মশানচারী শৃগালের ক্ষুধার্ত কলহ-চীৎকার, কখন বা বৃক্ষোপবিষ্ট অৰ্দ্ধসুপ্ত বৃহৎকায় পক্ষীর পক্ষতাড়ন-শব্দ, আর বহুদূরাগত তীব্র জলপ্রবাহের অবিশ্রাম হু-হু-হু আৰ্ত্তনাদ-ইহার মধ্যে দাড়াইয়া উভয়েই নিৰ্বাক, নিস্তব্ধ হইয়া এই মহাকরুণ দৃশ্যটির পানে চাহিয়া রহিলাম। একটি গৌরবর্ণ ছয়সাত বৎসরের হৃষ্টপুষ্ট বালক-তাহার সর্বাঙ্গ জলে ভাসিতেছে, শুধু মাথাটি ঘাটের উপর । শৃগালের বোধ করি জল হইতে তাহাকে এইমাত্র তুলিয়াছিল, শুধু আমাদের আকস্মিক আগমনে নিকটে কোথাও গিয়া অপেক্ষা করিয়া আছে। খুব সম্ভব তিন-চারি ঘণ্টার অধিক মৃত্যু তাহার হয় নাই । ঠিক যেন বিসূচিকার নিদারুণ যাতনা ভোগ করিয়া সে বেচারা মা-গঙ্গার কোলের উপরেই ঘুমাইয়া পড়িয়াছিল। মা আতি সন্তৰ্পণে তাহার সুকুমার নধর দেহটিকে এইমাত্র কোল হইতে বিছানায় শোয়াইয়া দিতেছিলেন। জলে-স্থলে বিন্যস্ত এমনিভাবেই সেই ঘুমন্ত শিশু-দেহটির উপর সেদিন আমাদের চোখ পড়িয়াছিল। মুখ তুলিয়া দেখি, ইন্দ্রের দুই চোখ বাহিয়া বড় বড় অশ্রুর ফোটা ঝরিয়া পড়িতেছে। সে কহিল, তুই একটু সরে দাড়া শ্ৰীকান্ত, আমি এ-বেচারাকে ডিঙিতে তুলে ঐ চড়ার ঝাউবনের মধ্যে ফেলে রেখে আসি । চোখের জল দেখিবা মাত্র আমার চোখেও জল আসিতেছিল সত্য ; কিন্তু ছোয়া-ছুয়ির প্রস্তাবে আমি একেবারে সন্ধুচিত হইয়া পড়িলাম। পরদুঃখে ব্যথা পাইয়া চোখের জল ফেলা সহজ নহে, তাহা অস্বীকার করি না ; কিন্তু তাই বলিয়া সেই দুঃখের মধ্যে নিজের দুই হাত বাড়াইয়া আপনাকে জড়িত করিতে যাওয়া-সে ঢের বেশী কঠিন কাজ । তখন ছোট-বড় কত জায়গাতেই না। টান ধরে। একে ত এই পৃথিবীর সেরা সনাতন হিন্দুর ঘরে বশিষ্ঠ ইত্যাদির পবিত্র পূজ্য রক্তের বংশধর হইয়া জন্মিয়া, জন্মগত সংস্কারবশতঃ মৃতদেহ স্পর্শ করাকেই একটা