পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ግ ዓ Asu তিনি চলিয়া গেলে রাজলক্ষ্মী কহিল, আজ তোমাকে একটু সকাল সকাল নাওয়া-খাওয়া সেরে নিতে হবে । কেন বল ত ? দুপুরবেলা একবার সুনন্দার বাড়ীতে যেতে হবে । একটু বিস্মিত হইয়া কহিলাম, কিন্তু আমি কেন ? তোমার বাহন রতন एठाgछ ऊ । বাজলক্ষ্মী মাথা নাড়িয়া বলিল, ও বাহনে আর কুলোবে না । তোমাকে সঙ্গে না নিয়ে আর কোথাও আমি এক পা-ও নড়ছি নে । আট পূকেবই বলিয়াছি, একদিন সুনন্দ আমাকে দাদা বলিয়া ডাকিয়াছিল, তাহাকে পরমাত্মীয়ের মত কাছে পাইয়াছিলাম । ইহার সমস্ত বিবরণ বিস্তুত করিয়া না বলিলেও কথাটাকে প্ৰত্যয় না করিবাব বিশেষ কোন হেতু নাই ; কিন্তু আমাদের প্রথম পবিচায়ের ইতিহাসটা বিশ্বাস করানো শক্ত হুইবে হয়ত। অনেকেই মনে করিবেন ইহা অস্তৃত। হয়ত অনেকেই মাথা নাড়িয়া কহিবেন, এসকল কেবল গল্পেই চলে। র্তাহারা বলিবেন, আমরাও বাঙালী, বাঙলা দেশেরই মানুষ, কিন্তু সাধারণ গৃহস্থঘরে এমন হয় তাহা ত কখনো দেখি নাই। তা বটে ; কিন্তু প্ৰত্যুত্তরে শুধু ইহাই বলিতে পারি, আমিও এ-দেশেরই মানুষ, এবং একটির অধিক সুনন্দা এ-দেশে আমরাও চোখে পড়ে নাই ; তন্ত্ৰাচ৷ ইহা সত্য। রাজলক্ষ্মী ভিতরে প্রবেশ করিল, আমি তাহাদের ভাঙ্গা প্ৰাচীরের ধারে দাড়াইয়া কোথায় একটু ছায়া আছে খোঁজ করিতেছি, একটি সতেরো-আঠারো বছরের ছোকরা আসিয়া কহিল, আসুন, ভেতরে আসুন। তর্কালঙ্কার মশাই কোথায় ? বিশ্ৰাম করছেন বোধ হয় ? আঙ্কে না, তিনি হাটে গেছেন। মা আছেন, আসুন। বলিয়া সে