পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छैकाख বছর-দশোকের ইতিহাস প্ৰায় রোজনামচার আকাবে অনর্গল বকিয়া চলিতে লাগিলেন । তঁাহাব গোটা-কয়েক কথার পরেই কেমন যেন বিমনা হইয়া পডিয়াছিলাম। তাহার কারণও ছিল । মনে করিয়াছিলাম, একদিকে আত্মপক্ষের স্তুতিবাদ, দয়া-দাক্ষিণ্য, তিতিক্ষা প্ৰভৃতি যাহা কিছু শাস্ত্রোক্ত সদগুণাবলী মনুষ্য-জন্মে সম্ভবপর সমস্তগুলিরই বিস্তুত আলোচনা — এবং অন্যদিকে যত কিছু ইহারই বিপবীত তাহারই বিশদ বিবরণ অন্যপক্ষের বিরুদ্ধে আবোপ করিয়া সন, তাৰিখ, মাস, প্ৰতিবেশী সাক্ষীদেব নামধাম সমেত আবৃত্তি কবা ভিন্ন তাহাব এই বলাব মধ্যে আব্ব কিছুই থাকিবে না । প্ৰথমটা ছিলও না-কিন্তু হঠাৎ একসমযে আমাব মনোযোগ আকৃষ্ট হইল কশাবী গৃহিণীর কণ্ঠস্ববোব আকস্মিক পবিবৰ্ত্তনে। একটু বিস্মিত হইয়াই জিজ্ঞাসা কবিলাম, কি হয়েছে ? তিনি ক্ষণকাল একদৃষ্টি আমার মুখোব প্ৰতি চাষ্টিয়া বহিলেন, তাব পাবে ধবা গলায় বলিয়া উঠিলেন, হবাব আব্ব কি বাকী বাইল বাৰু ? শুনলাম, কাল নাকি ঠাকুরপে হাটের মধ্যে নিজেব হাতে বেগুন বেচিতেছিলেন ? কথাটা ঠিক বিশ্বাস-তুইল না, এবং মন ভাল থাকিলে হয়ত হাসিয়াই ফেলিতাম। কহিলাম, অধ্যাপক মানুষ তিনি হঠাৎ বেগুনই বা পেলেন কোথায়, আর বেচিতেই বা গেলেন কেন ? কৃশাবীগৃহিণী বলিলেন, ওই হতভাগীর জ্বালায়। বাড়ীর মধ্যেই নাকি গোটা-কয়েক গাছে বেগুন ফলেছিল, তাই পাঠিয়ে দিয়েছিল হাটে বেচিতে -এমন ক’বে শক্ৰতা করলে আমরা গায়ে বাস করি কি ক’রে ? বলিলাম, কিন্তু একে শক্ৰতা করা বলছেন কেন ? তঁরা ত আপনাদের কিছুর মধ্যেই নেই। অভাব হয়েছে, নিজের জিনিস বিক্ৰী করতে গেছেন, তাতে আপনার নালিশ কি ? আমার জবাব শুনিয়া কুশারীগৃহিণী বিহবিলের মত চাহিয়া থাকিয়া শেষে কহিলেন, এই বিচারই যদি করেন, তা হ’লে আমার বলবার আর কিছু নেষ্ট, মন্নিবের কাছে নালিশ জানাবারও কিছু নেই। আমি উঠলাম। : isa fo, sets as. ahalaangtraraanakot